দেশে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় যুক্তিসঙ্গত ও গ্রাহকবান্ধব করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারি ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের জন্য নতুন ব্যান্ডউইথ মূল্য নির্ধারণ করে ট্যারিফ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।

এবার থেকে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এক রেটে মিলবে ইন্টারনেট সেবা। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) জন্য একক ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে।

নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ কনটেনশন রেশিও ১:৮ ভিত্তিতে ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ১০০ টাকা। এই হার মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন— সব স্তরে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

এ ছাড়া, রাখা হয়েছে সেবার মান ও জরিমানার নিয়মও। বিটিআরসি গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সেবার মান রক্ষায় চালু করেছে ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ ব্যবস্থা। এর আওতায় যদি কোনো গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা টানা ৫ দিন বিচ্ছিন্ন থাকে, তাহলে সে মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে। ১০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫ শতাংশ এবং ১৫ দিন বা তার বেশি সময় সংযোগ না থাকলে পুরো মাসের বিল মওকুফ করতে হবে সংশ্লিষ্ট আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বলছে, এই ট্যারিফ প্রাথমিকভাবে ৫ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। পরবর্তী সময়ে বিটিআরসি নতুন ট্যারিফ ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। আইএসপিগুলোকে বিটিআরসির অনুমোদিত এই ট্যারিফ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া অতিরিক্ত বা ভিন্ন ধরনের সেবা চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উদ্যোগের ফলে দেশের সব জায়গায় গ্রাহকরা সাশ্রয়ী, মানসম্মত এবং একক মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একই সঙ্গে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোও নির্দিষ্ট মান ও শর্ত মেনে সেবা দিতে বাধ্য হবে।

ঢাকা/হাসান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ট আরস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত