প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকান সিটিতে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কালো কুর্তা কেন পরেছিলেন, তার কারণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‍‌আমরা তখন কাতারে ছিলাম, যেখানে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘আর্থনা সামিট’-এ অংশ নিয়েছিলেন। কাতারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর পেলাম।

প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের সফরের দ্বিতীয় দিনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা তার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পক্ষে প্রবলভাবে দাঁড়ানো একজন মহান ব্যক্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।”

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের সাক্ষাৎ শনিবার

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ

তিনি বলেন, “সমস্যাটা হলো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে কালো পোশাক, বিশেষ করে কালো স্যুট পরা প্রয়োজন হয়। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূস বহু বছর আগে স্যুট পরা বন্ধ করে দিয়েছেন।”

প্রেস সচিব বলেন, “তিনি যেখানেই যান, বাংলাদেশে তৈরি গ্রামীণ চেকের কুর্তা পরেন। আমরা দেখলাম, তার কাছে একটি কালো কটি আছে, কিন্তু কালো কুর্তা নেই।”

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীরা দোহায় বিভিন্ন মার্কেটে কালো কুর্তা খুঁজেছেন, কিন্তু যা পান, তা ছিল অত্যন্ত দামি।

এরপর তারা সাধারণ মার্কেটের দিকে যান এমন একজন দরজি খুঁজে বের করতে, যিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কালো কুর্তা সেলাই করতে পারবেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হলো না।

শফিকুল আলম বলেন, “পরে আমরা এমন একটি দোকান পাই, যেখানে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে আসা একজন দরজি অধ্যাপক ইউনূসকে চিনতেন। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কালো কুর্তা তৈরি করতে রাজি হন। এর খরচ হয়েছিল বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৫,০০০।”

সূত্র: বাসস

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।

স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।

স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।

জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’

এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স