Samakal:
2025-08-01@09:09:51 GMT

হলুদ ছাতা ও ছোট্ট মেয়ের গল্প

Published: 23rd, May 2025 GMT

হলুদ ছাতা ও ছোট্ট মেয়ের গল্প

এক বৃষ্টির দিনে একটা কালো ছাতার মধ্যে ছোট্ট এক হলুদ ছাতা ঢুকে বসে ছিলো। হলুদ ছাতার মধ্যে ছিল সুন্দর একটা হলুদ ফুলের নকশা। এই ছাতাটা ছিলো একটা ছোট্ট মেয়ের। মেয়েটি খুব ভালো ছিলো আর সুন্দর। একদিন বৃষ্টির দিনে ছোট মেয়েটি ওই হলুদ ফুলের ছাতাটি নিয়ে বের হলো।
বাইরে তখন কেবলই কালো ছাতা। একমাত্র মেয়েটিই হলুদ ছাতা নিয়ে বের হয়েছে। সে যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলো, তখন দেখলো, একটা গাছে ছাতার মতো দেখতে সুন্দর একটা ফুল।  সে ওই ফুল নিতে পারলো না। তাই সে মন খারাপ করে বাসে উঠে পড়লো।
বাসটিতে তখন কেউ ছিলো না। মেয়েটা একা একটা সিটে বসলো। হলুদ ছাতাটি পাশে রাখলো, কিন্তু তার হ্যান্ডল ধরে ছিলো। মেয়েটি কখন মন খারাপ করে বসে ঘুমিয়ে পড়লো বুঝতে পারে না। হঠাৎ সে দেখলো, একটা হলুদ বেলুন বাসের জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। সে জানালা ভালো করে খোলার সাথে সাথে বেলুনটা ফেটে বাসের ভেতরে ঢুকে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে বেলুন থেকে রাজ্যের প্রজাপতি বের হয়ে হাওয়ায় ভাসতে লাগলো। মেয়েটি দেখলো, সে যেন আর বাসে নাই। সে যেন হলুদ ছাতা নিয়ে এক অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছে। সেখানে সে তার হলুদ ছাতা খুলে দিল। ছাতা ধরে ভাসতে ভাসতে মেয়েটি দেখলো একটা জায়গায় খুব সুন্দর চাঁদ আর তারা। চাঁদের জায়গাটা কী সুন্দর আর ঝকঝকে। তারাটাও খুব সুন্দর। হঠাৎ তার হাত থেকে ছাতাটা পড়ে গেলো। ওমনি সে আস্তে আস্তে নামতে থাকলো নিচের দিকে।
ভেবেছিলো সে পড়ে যাবে। কিন্তু দেখলো, একটা একটা করে সিঁড়ি তৈরি হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মেয়েটির ঘুম ভেঙে গেলো। তখন সে দেখলো, বাসে ওর পাশেই রাখা ছাতাটা। কোলে পড়ে আছে রাস্তায় দেখা ফুলটা। সে ফুল হাতে নিয়ে বাইরে দেখলো, কী সুন্দর আকাশ। সুন্দর বাতাস বইছে, একটা পাখি ডাকছে। এখানেই গল্পটা শেষ হলো। n

বয়স : ২+৩+৩‍ বছর; দ্বিতীয় শ্রেণি, কল্যানপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল দ ছ ত স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ