জার্মানির হামবুর্গ শহরের ব্যস্ততম সেন্ট্রাল স্টেশনে শুক্রবার ছুরি হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও ছয়জন গুরুতর আহত। হামলাটি হয়েছে স্টেশনের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যেখানে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। খবর-রয়টার্স

হামবুর্গ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে ৩৯ বছর বয়সী এক জার্মান নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ধারণা গ্রেপ্তার নারী একাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এ হামলার পেছনে কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নেই বলেই তাদের বিশ্বাস।

পুলিশের মুখপাত্র ফ্লোরিয়ান আবেনজেথ বলেন, ‌‘হামলাকারী সম্ভবত চরম মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন বলে আমরা মনে করছি। সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র ফ্লোরিয়ান আবেনজেথ।’

জার্মান রেল পরিচালক ডয়েচে বান জানিয়েছে, ঘটনার পর স্টেশনের চারটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিথ এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাত পেছনে রাখা সন্দেহভাজন ওই নারীকে পুলিশের কর্মকর্তারা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে নিয়ে গাড়িতে তুলছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিদরিশ মেয়াৎস বলেছেন, এ হামলার ঘটনায় তিনি ‘স্তম্ভিত’।

স্টেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামবুর্গ সেন্ট্রাল স্টেশনটি জার্মানির অন্যতম ব্যস্ত পরিবহন হাব। দিনে সাড়ে ৫ লাগের বেশি মানুষ এটি ব্যবহার করে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ র ক হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হরহরিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মণ্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গোষ্ঠ মোহন চৌধুরী (৪৯) খয়েরবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

এ ছাড়া শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার ফজলুল হক চৌধুরী জুয়েল (৪৯) ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। গ্রেপ্তার আরেক নেতা একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৫৫)। তিনি শিবনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। অপরজন এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার তারিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।

ফুলবাড়ী থানার ওসি এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরে মিছিল বের করেন। সে কর্মসূচিতে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলী সাহাজুল ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী খোকনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। 

এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০ তেকে ১৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ