ঈদুল আজহাতে বাজারে আসছে নতুন টাকা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নতুন টাকা ছাপানোও শুরু হয়েছে। নতুন টাকায় থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি। এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

শনিবার সকালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে দেশের প্রথম ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিম উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

গভর্নর বলেন, ‘নতুন নোটে থাকবে দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঈদে বাজারে প্রথমে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট আসবে।’

টাঁকশাল থেকে জানা গেছে, ২০ টাকার নোট ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর পরে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে আসবে।

টাঁকশাল জানিয়েছে, নতুন নকশার নোট ছাপাতে ১ থেকে দেড় বছর সময় লাগে। আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয় এই সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় টাঁকশাল চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে।

টাঁকশাল আরও জানায়, একসঙ্গে ৩টি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।

এদিকে গভর্নর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ায় তা ফেরত পাঠাতে চাপ তৈরি হয়েছে। পাচারকৃত অর্থ ফ্রিজ করায় অর্থ ফেরত আনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।’

গভর্নর বলেন, ‘স্কিমের আওতায় পিকেএসএফ অংশীদার এমএফআই গুলোকে ২৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ তহবিল ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ গ্যারান্টি দেবে। ঋণের গ্যারান্টি অনুযায়ী এককালীন ০.

৫ শতাংশ কমিশন আদায় করা হবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ হবে।’

সরকার ও এডিবির সহায়তায় এই পাইলট প্রোগ্রামে এদিন চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিশন বলেও জানান তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন ট ক নত ন ন সরক র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগেই আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই নতুন নকশার টাকা বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঈদের আগে নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি আগের নকশাও ফিরে আসছে। নতুন নকশার এই তিন ধরনের নোটের ছাপা চলছে গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বা টাঁকশালে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও টাঁকশালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ টাকার নোটের ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। পরের সপ্তাহে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে ছাড়বে। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্যান্য শাখা এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই টাকা দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়া হতে পারে। কারণ, নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা হচ্ছে কম।

টাঁকশালের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নকশার নোট ছাপাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে। তবে একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নোট নিয়ে বিতর্ক ওঠায় গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যেসব নতুন নোট গচ্ছিত আছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়। এরপর থেকে নতুন নোটের বিনিময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাজারে ছেঁড়াফাটা নোট বাড়তে থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদে আসছে নতুন নোট, থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি
  • বন্দর থানা জামে মসজিদের দু’টি ডাবের মূল্য ১০০০ টাকা
  • ঈদের আগেই আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট