শেষ হয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের লড়াই। গতকাল রাতেই মৌসুমে শেষবারের মতো লিগ ম্যাচ খেলতে নামে দলগুলো। এই ম্যাচগুলোয় অনেক দলের ভাগ্যও নির্ধারিত হয়েছে। আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কারা খেলবে, সেই প্রশ্নেরও চূড়ান্ত মীমাংসা হয়েছে গত রাতে।

শুধু কি তা–ই, এ রাতেই নির্ধারিত হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল্ডেন শু জয়। এর পাশাপাশি লিগগুলোয় গোল করায় এবং গোলে সহায়তায় কারা এগিয়ে, সেই তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গোল এবং গোলে সহায়তায় কোনো লিগে কারা শীর্ষে।

প্রিমিয়ার লিগ

প্রিমিয়ার লিগে এবার শুরু থেকেই গোলে এগিয়ে ছিলেন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। এই মিসরীয় ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্সই মূলত লিভারপুলকে শিরোপা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দেয়। শুরুতে আর্লিং হলান্ডের সঙ্গে সালাহর গোলের দ্বৈরথ চললেও পরে তা একপেশে হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলে ২৯ গোল করেছেন সালাহ। হলান্ড অবশ্য দুইয়েও থাকতে পারেননি। তাঁর অবস্থান তিনে আর দুইয়ে লিগ শেষ করেছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের আলেক্সান্দার ইসাক। গোল করার পাশাপাশি গোলে সহায়তায়ও ছিল সালাহর দাপট। এই পরিসংখ্যানে সালাহর আশপাশেও কেউ নেই।

গোলে শীর্ষ তিনগোল সহায়তায় শীর্ষ তিনলা লিগা

রিয়াল মাদ্রিদে নিজের প্রথম মৌসুমে দলীয়ভাবে সুবিধা করতে না পারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে চমক দেখিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম মৌসুমে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ‘পিচিচি’র পাশাপাশি জিতেছে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু। ৩৪ ম্যাচে এমবাপ্পে করেছেন ৩১ গোল। গোলের লড়াইয়ে এমবাপ্পের সঙ্গে রবার্ট লেভানডফস্কিও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। এমবাপ্পেই বাজিমাত করেছেন।

গোলে শীর্ষ তিনগোল সহায়তায় শীর্ষ তিনসিরি ‘আ’

ইতালিয়ান লিগ সিরি ‘আ’র শীর্ষ তিন গোলদাতার তালিকায় চ্যাম্পিয়ন নাপোলি এবং রানার্সআপ ইন্টার মিলানের কেউ নেই। ২৫ গোল করে সবার ওপরে আতালান্তার মাতেও রেতেগুই। যদিও শেষ পর্যন্ত দলগতভাবে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাঁর। চ্যাম্পিয়ন নাপোলির সর্বোচ্চ গোলদাতা রোমেলু লুকাকু। ১৪ গোল করে যিনি আছেন ৫ নম্বরে।

গোলে শীর্ষ তিনগোল সহায়তায় শীর্ষ তিনবুন্দেসলিগা

বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমে গোলমেশিনের ভূমিকায় ছিলেন হ্যারি কেইন। বায়ার্ন মিউনিখের লিগ জেতায় দারুণ ভূমিকা ছিল এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রফি জেতার পথে কেইন গোল করেছেন ২৬টি। গোলের পাশাপাশি গোল সহায়তায়ও শীর্ষে বায়ার্ন। দলটির হয়ে মাইকেল ওলিস সর্বোচ্চ ১৫টি।

গোলে শীর্ষ তিনগোল সহায়তায় শীর্ষ তিনফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’

ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন পিএসজি তারকা উসমান দেম্বেলে। লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২১ গোল করেছেন দেম্বেলে। মার্সেইয়ের ম্যাসন গ্রিনউডও দেম্বেলের সমান ২১ গোল করেছেন। তবে লিগ ট্রফি জিতে শেষ হাসি হেসেছেন দেম্বেলেই। গোল সহায়তায় শীর্ষে অসেরের অখ্যাত মিডফিল্ডার গায়েতান পেরিন।

গোলে শীর্ষ তিনগোল সহায়তায় শীর্ষ তিন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল কর ছ ন এমব প প ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’

অন্তবর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সবাইকে ধৈর্য ধরে বিচার প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সারাদেশ এখন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিবিদ্যালয়ে নির্মিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, অদম্য ২৪ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মিত জুলাইয়ের ভিডিও ও ফটো ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন।

আরো পড়ুন:

জবির পরিত্যক্ত ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করল ছাত্রদল

রাকসু থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা

আদিলুর রহমান খান বলেন, “১ বছর আগে বাংলাদেশে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্যই পারে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে। বিচার প্রশ্নে বলতে চাই কোনো অবস্থাতেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া সরকার বিচারের ক্ষেত্রে দুর্বলতা স্কোপ রাখবে না। খুব দ্রুতই বেশ কয়েকটি বিচারের কাজ দৃশ্যমান হবে।”

তিনি আরো বলেন, “তরুণ ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।” এছাড়া স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ বিভাজন ভুলে একাত্ম হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

সমাপনী বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “সংঘবদ্ধ আন্দোলনে ৫ আগস্ট আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এর মানে এই নয় যে, অন্য যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আর স্বর আপনারা শুনবেন না। আপনারা দেখবেন, জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সচেতন এবং কথা বলার ব্যাপারে উন্মুক্ত।”

তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আবার স্মরণ করিয়ে দিলাম, আমরা যদি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি দেখি, বৈষম্য দেখি, পরাজয়ের কালো মেঘ দেখি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য সংগ্রামীরা আবারো তাদের সেই কার্যক্রম শুরু করবে। গোটা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে, আবার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ -উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলমসহ জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য দেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ