ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা কারা, কারাই বা করিয়েছেন সবচেয়ে বেশি গোল
Published: 26th, May 2025 GMT
শেষ হয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের লড়াই। গতকাল রাতেই মৌসুমে শেষবারের মতো লিগ ম্যাচ খেলতে নামে দলগুলো। এই ম্যাচগুলোয় অনেক দলের ভাগ্যও নির্ধারিত হয়েছে। আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কারা খেলবে, সেই প্রশ্নেরও চূড়ান্ত মীমাংসা হয়েছে গত রাতে।
শুধু কি তা–ই, এ রাতেই নির্ধারিত হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল্ডেন শু জয়। এর পাশাপাশি লিগগুলোয় গোল করায় এবং গোলে সহায়তায় কারা এগিয়ে, সেই তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গোল এবং গোলে সহায়তায় কোনো লিগে কারা শীর্ষে।
প্রিমিয়ার লিগে এবার শুরু থেকেই গোলে এগিয়ে ছিলেন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। এই মিসরীয় ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্সই মূলত লিভারপুলকে শিরোপা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দেয়। শুরুতে আর্লিং হলান্ডের সঙ্গে সালাহর গোলের দ্বৈরথ চললেও পরে তা একপেশে হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলে ২৯ গোল করেছেন সালাহ। হলান্ড অবশ্য দুইয়েও থাকতে পারেননি। তাঁর অবস্থান তিনে আর দুইয়ে লিগ শেষ করেছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের আলেক্সান্দার ইসাক। গোল করার পাশাপাশি গোলে সহায়তায়ও ছিল সালাহর দাপট। এই পরিসংখ্যানে সালাহর আশপাশেও কেউ নেই।
রিয়াল মাদ্রিদে নিজের প্রথম মৌসুমে দলীয়ভাবে সুবিধা করতে না পারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে চমক দেখিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম মৌসুমে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ‘পিচিচি’র পাশাপাশি জিতেছে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু। ৩৪ ম্যাচে এমবাপ্পে করেছেন ৩১ গোল। গোলের লড়াইয়ে এমবাপ্পের সঙ্গে রবার্ট লেভানডফস্কিও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। এমবাপ্পেই বাজিমাত করেছেন।
ইতালিয়ান লিগ সিরি ‘আ’র শীর্ষ তিন গোলদাতার তালিকায় চ্যাম্পিয়ন নাপোলি এবং রানার্সআপ ইন্টার মিলানের কেউ নেই। ২৫ গোল করে সবার ওপরে আতালান্তার মাতেও রেতেগুই। যদিও শেষ পর্যন্ত দলগতভাবে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাঁর। চ্যাম্পিয়ন নাপোলির সর্বোচ্চ গোলদাতা রোমেলু লুকাকু। ১৪ গোল করে যিনি আছেন ৫ নম্বরে।
বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমে গোলমেশিনের ভূমিকায় ছিলেন হ্যারি কেইন। বায়ার্ন মিউনিখের লিগ জেতায় দারুণ ভূমিকা ছিল এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রফি জেতার পথে কেইন গোল করেছেন ২৬টি। গোলের পাশাপাশি গোল সহায়তায়ও শীর্ষে বায়ার্ন। দলটির হয়ে মাইকেল ওলিস সর্বোচ্চ ১৫টি।
ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন পিএসজি তারকা উসমান দেম্বেলে। লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২১ গোল করেছেন দেম্বেলে। মার্সেইয়ের ম্যাসন গ্রিনউডও দেম্বেলের সমান ২১ গোল করেছেন। তবে লিগ ট্রফি জিতে শেষ হাসি হেসেছেন দেম্বেলেই। গোল সহায়তায় শীর্ষে অসেরের অখ্যাত মিডফিল্ডার গায়েতান পেরিন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল কর ছ ন এমব প প ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ম্যাক্সওয়েল
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই বিস্ফোরক ব্যাটার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। এখন থেকে তিনি মনোযোগ দেবেন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট এবং বিগ ব্যাশ লিগে।
২০১২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে অভিষেক হয়েছিল ম্যাক্সওয়েলের। নিজের বিদায় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাকে অপ্রত্যাশিতভাবেই শুরুতে দলে নেওয়া হয়েছিল। তখন ভাবতাম, হয়তো কয়েকটি ম্যাচ খেলে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এরপর বাদ পড়া, ফিরে আসা, একাধিক বিশ্বকাপে খেলা এবং দারুণ সব দলের অংশ হওয়া—সব মিলিয়ে দারুণ এক যাত্রা ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমার শরীর যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল যেন আমি দলের সঙ্গে সুবিচার করতে পারছি না। নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে আলোচনা করেই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৪৯টি ওয়ানডে খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। করেছেন ৩৯৯০ রান, গড় ৩৩.৮১, স্ট্রাইকরেট ১২৬.৭০। ক্যারিয়ারে চারটি সেঞ্চুরি ও ২৩টি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতেও ৭৭টি উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি অফ স্পিনার। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দারুণ, ক্যাচ নিয়েছেন ৯১টি।
তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংসটি এসেছে ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, যেখানে একা লড়াই করে অপরাজিত ২০১ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। অনেকেই এই ইনিংসকে ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলে মনে করেন।