বাজেটে ক্ষেতমজুরদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবি, বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা
Published: 26th, May 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় বাজেটে ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রেশনিং, পেনশন, কর্মসৃজন কর্মসূচি, বিধবা ভাতা, টিসিবির পণ্য বরাদ্দসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইনে করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এসব দাবিতে ৩০ ও ৩১ মে বিক্ষোভ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ক্ষেতমজুর সমিতি।
সোমবার ঢাকায় সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা.
সভা থেকে বাজেটে ক্ষেতমজুরদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে ৩০ মে ঢাকায় ও ৩১ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সভায় নেতারা বলেন, প্রতিবছর বিশাল বাজেট ঘোষিত হলেও তার সুফল গরিব, মেহনতি মানুষের ঘরে পৌঁছায় না। বরাদ্দকৃত অর্থের বড় অংশ লুটপাট হয়ে যায়। তাঁরা দাবি করেন, বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা সেই সুবিধা পান।
বক্তারা রাখাইনে করিডর এবং চট্টগ্রামের লাভজনক নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় নেতারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকারও পূর্ববর্তী সরকারের মতোই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। ফলে গরিব মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে পারছে না।
তাঁরা বাজেটে রেশনিং চালু করে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব মজুরদের জন্য মাসিক ১০ হাজার টাকার পেনশন চালুর দাবি করেন। এ ছাড়া কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতা ও মজুরি বাড়ানো, খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ এবং বিধবা ও বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির কথাও বলেন তাঁরা।
সভায় নেতারা বলেন, গ্রামে–গঞ্জে, হাটে-বাজারে ক্ষেতমজুর সমিতির নেতৃত্বে গরিব মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম আরও জোরদার করতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ষ তমজ র র জন য বর দ দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সারাদেশে যৌথবাহিনীর হাতে আটক ৩৯০ জন
সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চলতি মাসের ২২ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত অভিযানে ৩৯০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ৩৯০ জনের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্ত রয়েছেন। এসব অপরাধীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটকৃতদের কাছ থেকে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইলফোন, ওয়াকি-টকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলসমূহে সম্ভাব্য অস্থিরতারোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুরহাটে সার্বক্ষণিক নজরদারী, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি ঈদযাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।