বিআরআইসিএম প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান সাময়িক বরখাস্ত
Published: 27th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত রোববার বিআরআইসিএমের এক অফিস আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মালা খানের বিরুদ্ধে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন এবং প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকার পরও প্রতারণার মাধ্যমে বিআরআইসিএমে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর বিআরআইসিএমের ১৩তম পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ১৫তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মালা খান সমকালকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তিনজনের মধ্যে দুইজনই অভিযোগকারী। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি অফিসিয়াল বিষয়। এ বিষয়ে তো আমার কিছু করার নেই। শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে কী হয়, যেহেতু এটা কর্তৃপক্ষের বিষয়।’
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অনুপম বড়ুয়া সমকালকে বলেন, ‘বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সচিবালয়ের নির্দেশনা থাকে। সেই অনুযায়ী ধারাবাহিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন
তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।
উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”
বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।
ঢাকা/রাহাত/মেহেদী