বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত রোববার বিআরআইসিএমের এক অফিস আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মালা খানের বিরুদ্ধে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন এবং প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকার পরও প্রতারণার মাধ্যমে বিআরআইসিএমে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর বিআরআইসিএমের ১৩তম পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ১৫তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

অভিযোগের বিষয়ে মালা খান সমকালকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তিনজনের মধ্যে দুইজনই অভিযোগকারী। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি অফিসিয়াল বিষয়। এ বিষয়ে তো আমার কিছু করার নেই। শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে কী হয়, যেহেতু এটা কর্তৃপক্ষের বিষয়।’

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অনুপম বড়ুয়া সমকালকে বলেন, ‘বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সচিবালয়ের নির্দেশনা থাকে। সেই অনুযায়ী ধারাবাহিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরখ স ত য় ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদ শিবিরের

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ