পবিত্র ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলো ৩ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত হল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সাধারণ শিক্ষার্থীরা রউফ উল্লাহ, অর্নব হাসান, বাঁধন স্পর্শ প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহত

রাজশাহী কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়বেন ৪ জন

অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটি ঘোষণা হলেও আবাসিক হলগুলো খোলা থাকে অথবা ২-৩ দিনের বেশি বন্ধ দেয় না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইবিতে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি হলগুলোও দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর একটা যৌক্তিক সমাধান হওয়া উচিত।

এছাড়া হল বন্ধ হওয়ার কারণে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা অস্বস্তিতে থাকে। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে হল বন্ধের ব্যাপারে যৌক্তিক ছুটি ঘোষণার দাবি জানাই।

এ সময় সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, “গতকাল (বুধবার) ক্যাম্পাস ছুটি হওয়ার পরপরই ঘোষণা এসেছে হল বন্ধ থাকবে ১৩দিন। এটা আমরা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে করি। ছুটি ঘোষণার আগে আমরা কয়েকবার প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি ও প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”

তিনি বলেন, “আমরা দাবি ছিল, যেহেতু উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থাকছে না, হলে অবস্থান করছে না, সেহেতু ছুটি কমিয়ে এনে একটা যৌক্তিক ছুটি ঘোষণা করা হোক। কিন্তু তারা আমাদের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা করেনি। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চাই ছুটি কমিয়ে এনে শিক্ষার্থীবান্ধব একটা ছুটি ঘোষণা করা হোক।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের অধ্যাপক ড.

আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “শুরুতে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সবার সিদ্ধান্তে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী গত ২৫ মে রবিবার সব হলের প্রাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়।”

তিনি বলেন, “সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদি প্রতিটি হলে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী অবস্থান করে, তাহলে হল খোলা রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা থাকতে চান তারা ছাত্র উপদেষ্টা,  প্রাধ্যক্ষ পরিষদ বরাবর আবেদন করবে। কিন্তু আমরা উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীদের আবেদন পাইনি। দ্বিতীয়ত, আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হল বন্ধের সময় নির্ধারণ করা হবে। পরে আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা হল বন্ধ ঘোষণা করেছি।’

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বব দ য ল ব শ বব দ য অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সোয়া ২ কোটি টাকার চেক নেন সাবেক এমপির কাছ থেকে

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চেক উদ্ধারের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তবে এই চেক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তা তিনি জানাননি।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয়েছে রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে। ট্রেড জোনের পোশাক কারখানাসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।

ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সোয়া দুই কোটি নয়, মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জন। তবে একটি চেকের বিপরীতেও তাঁরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে ট্রেড জোন কর্তৃপক্ষ টাকা রাখেনি। তিনি বলেন, টাকা উত্তোলন করতে না পেরে রাজ্জাকসহ অন্যরা ট্রেড জোনের মালিককে হুমকি দিচ্ছিলেন।

রাজ্জাকসহ অন্যরা কীভাবে চেক নিয়েছিলেন, তা প্রথম আলোকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।

শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার টাকা নিতে গিয়ে ১৭ জুলাই হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির এখন রিমান্ড চলছে। ঘটনাটিতে মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর।

ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য। গ্রেপ্তারের পর সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে অন্য সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ