‘বাংলাদেশ সরকারকে আমি বলব- তাদের দেশের গভর্ন্যান্স বা প্রশাসনিক ইস‍্যুগুলো সামলানোর দায়িত্ব কিন্তু তাদেরই। এ ব্যাপারে আমরা যে ধরনের বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি বা যেসব মন্তব্য আসছে, তা থেকে মনে হচ্ছে দায়টা যেন তারা অন্য কোনো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’ 

সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকটের জন্য ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’কে দায়ী করে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা ড.

ইউনূস। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আপনাদের সামনে যেসব নিজস্ব চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো আপনাদেরই দেখতে হবে। তার বদলে যদি বলেন বাইরের অমুক কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে, তাতে কিন্তু কোনো লাভ নেই। এতে সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।’

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রশ্নে ভারত সরকার যা যা বলেছে– তার কোনোটাই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রশংসাসূচক নয়।

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে দিল্লির অবস্থান ‘আগের মতোই আছে বলে জানান জয়সোয়াল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয়স য় ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”

শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ