২ দশক পর স্থায়ী হলো রাবির ২৬৪ কর্মচারীর চাকরি
Published: 29th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘ দুই দশক ধরে দৈনিক মজুরীভিত্তিতে নিয়োজিত ২৬৪ কর্মচারীকে স্থায়ী করা হয়েছে। গত ২২ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের স্থায়ী করা হয়।  
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব নিজ কার্যালয়ে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক মো.                
      
				
এর মধ্য দিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োজিত ২৬৪ জন সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হলো।
আরো পড়ুন:
১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রাবি, হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
কুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
এ সময় উপাচার্য স্থায়ীকরণের এই জটিল প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট যারা সহযোগিতা প্রদান করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান। এই স্থায়ীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভুত একটি সমস্যার সমাধান হলো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নিয়োগপত্র হস্তান্তরকালে অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’