ফেনীতে বন্যার আশঙ্কা, প্রস্তুত প্রশাসন
Published: 30th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল (শনিবার) পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি অস্বাভাবিক জোয়ার ও স্রোতের কারণে সোনাগাজী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম গতকাল প্লাবিত হয়। তবে বর্তমানে পানি নামতে শুরু করেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো.
প্রসঙ্গত, গেল বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছিল ফেনী। বিশেষ করে ১৯ আগস্টের পর পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়ে যে জেলায় প্রাণ হারান ২৯ জন এবং ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় শত কোটি টাকা। সেই স্মৃতি এখনো তাজা ফেনীবাসীর মনে।
জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালের পাশে মিলল নবজাতক, ঠাঁই হলো নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালপাড় থেকে তোয়ালে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের পূর্ব মায়ানী গ্রামের একটি খালপাড়ে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় এক কৃষক তাকে উদ্ধার করে। সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলেশিশুটিকে কে বা কারা খালপাড়ে রেখে যায়, তা জানা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন জানান, পূর্ব মায়ানী এলাকার মো. মোস্তফা নামের এক কৃষক সকালে মাঠে যাওয়ার সময় খালপাড়ে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পান। কান্নার শব্দ শুনে তিনি আশপাশে খুঁজে খালপাড়ে তোয়ালে মোড়ানো একটি নবজাতক দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুজিবুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যান। ঘটনার জানাজানি হলে এলাকার শত শত লোক শিশুটিকে দেখতে ভিড় করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সম্মতিতে এক নিঃসন্তান দম্পতিকে দেওয়া হয়। শিশুটিকে এখন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন ওই দম্পতি।
শিশুটি উদ্ধারের সময় সেখানে ছিলেন শাহাব উদ্দিন নামের এক তরুণ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, নবজাতকটিকে জন্মের কিছু সময় পরই ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল। কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় কৃষক মোস্তফা নবজাতকটি পাওয়ার পর আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে তাঁদের উপস্থিতি ও সম্মতিতে শিশুটিকে নিঃসন্তান এক ব্যবসায়ী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুসা মিয়া জানান, খালপাড় থেকে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক উদ্ধারের পর স্থানীয় এক নিঃসন্তান পরিবারের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে এখন সুস্থ রয়েছে।
জানতে চাইলে এমন কোনো ঘটনার কথা শোনেননি বলে জানান মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির আমিন। তিনি বলেন, ‘মায়ানী ইউনিয়ন আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা। সেখানে খালপাড়ে নবজাতক পাওয়া গেছে, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা শুনতে পাইনি। এলাকা থেকেও কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি আমাদের।’