বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকরা শুক্রবার বিকেলে এক সভায় বসছেন। ওই সভায় বিসিবির সংখ্যাগরিষ্ট পরিচালকদের ভোটে বিসিবির নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। 

বিসিবি সূত্রে সভার বিষয়টি জানা গেছে। এছাড়া সূত্র নিশ্চিত করেছে, বুলবুলকে বিসিবির জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত কাউন্সিলরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক অনলাইন সভায় তাকে কাউন্সিলরের অনুমোদন দেওয়া হয়। 

গতকাল রাতে ফারুক আহমেদের ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালকের পদ বাতিল করে চিঠি দেওয়া হয়। তার আগেই কাউন্সিলর হওয়ায় চিঠি পান বুলবুল।  

বিসিবি সভাপতি হতে হলে শুধু কাউন্সিলর নয় পরিচালক হতে হবে। বিকেলের বোর্ড সভার আগে বুলবুলকে ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। এরপর বিসিবির বাকি ৯ পরিচালকের সংখ্যাগরিষ্টজন বুলবুলকে ভোট দিলে বিসিবির নতুন সভাপতি হতে বাধা নেই। 

জুলাই আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে বিদেশ থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগপত্র পাঠান। তার জায়গায় সরকারের চাওয়ায় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হয়ে বিসিবির সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। কিন্তু দায়িত্ব পালনের ৯ মাসে বিসিবির সংখ্যাগরিষ্ট পরিচালকরা ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর অনাস্থা চিঠি দিলে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। 

ফারুক আহমেদের জায়গায়একই নিয়ম অনুসরণ করে ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে বিসিবি সভাপতি হতে যাচ্ছেন বুলবুল। তবে সাবেক এই ক্রিকেটার সমকালকে আগেই জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব নিতে চান না। বিসিবির নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিতে চান। তার বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে নেই বলেও পরিষ্কার করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ