পাঞ্জাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, প্রাণহানি ৫
Published: 30th, May 2025 GMT
পাঞ্জাবের বাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে পাঁচ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। আহতদের ভাটিন্ডা এইমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মুক্তসারের সাহিব এলাকার ওই দোতলা বাজি কারখানার পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সিংঘেওয়ালা-ফুতুহিওয়ালা গ্রামের ওই কারখানায় রাতের শিফটে কাজ চলছিল। স্থানীয় ঠিকাদার রাজ কুমারের অধীনে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। রাজের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের হাথরসে। কারখানার মালিক তারসেম সিং ও ঠিকাদার রাজুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
হরিয়ানা সীমান্তের কাছে পাঞ্জাবের ওই কারখানায় মূলত আতশবাজি উৎপাদন এবং প্যাকেজিংয়ের কাজ করা হত। আচমকা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পাঁচ শ্রমিকের।
মুক্তসারের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অখিল চৌধুরী ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের কারণে নয়, বিস্ফোরণের অভিঘাতে কারখানা ভবন ভেঙে পড়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
লাম্বির ডিএসপি যশপাল সিং জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। বাজি কারখানার মালিকের কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দরজায় তালা ভেতরে আগুন, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুুড়িয়ে মারার অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরে পেট্রল ঢেলে ঘরে আগুন দিয়ে মারুফা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ইদ্রবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফা আক্তার পোশাক শ্রমিক এবং একই গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে এবং চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা দেখতে পান, বসতঘরের মূল ফটকে তালা লাগানো। পরে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যায়, ভেতরের ঘরের দরজাও তালাবদ্ধ। দরজার তালা ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও মারুফার শরীর আগুনে পুড়ে যায়।
নিহতের ছোট বোন নাজমা আক্তার বলেন, “রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ‘আগুন-আগুন’ চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি। তখন দেখি ঘরের তালা ভাঙার চেষ্টা চলছে। তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি আমার বোন আগুনে পুড়ে গেছে।”
নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, বিয়ের পর থেকেই মারুফা-মিজানুরের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। গত ১৫ দিন ধরে মারুফাকে বাড়ির বাইরে যেতে দেননি মিজানুর।
আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, “পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে আমার বোনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “এই দম্পতি প্রায় সময়ই ঝগড়া করত। বহুবার সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু লাভ হয়নি।”
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারিক জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে যান। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।”
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/রফিক//