সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ চেয়েছিল পাকিস্তানে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের উন্মাদনা শেষ দ্বিতীয় ম্যাচেই। কারণ, এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে জিতেছিল তারা। এবার সংখ্যাটা ৫৭। দুই ম্যাচেই পাকিস্তান টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয়। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, দুই ম্যাচেই তাদের দলীয় পুঁজি ২০১।
প্রথম ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক লিটন দাস চেয়েছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় পরাজয়কে সঙ্গী করেছে বাংলাদেশ। একদিন বিরতির পর তৃতীয় ম্যাচ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছেন, তৃতীয় ম্যাচে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবে না তার দল।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘‘আমাদের আরও একটি সুযোগ আছে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রত্যেকে বসে চিন্তা করতে হবে কিভাবে আমরা শক্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আমি মনে করি পুরোটাই মানসিকতার বিষয়।’’
পরপর দুই ম্যাচে পাকিস্তান বড় স্কোর করে। আজ একজন বোলারের ঘাটতি ছিল। শরিফুল তিন বল করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার অনুপস্থিতির বিষয়টি সামনে এনেছেন লিটন, ‘‘যে সময়ে শরিফুল চোট পেল, সেখানেই ছন্দের পরিবর্তন হয়ে গেল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের বোলারের কমতি আছে। তারপরও আমরা ফিরে এসেছিলাম ভালোভাবে।’’
শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪০ রান দেয়। তুলে নেয় ৩ উইকেট। ২টি চারের সঙ্গে কেবল একটি ছক্কা এসেছিল। বাংলাদেশের মূল ঘাটতি ব্যাটিংয়ে। আজও ২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় ইনিংসের মধ্যভাগে। তাতে পিছয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
লিটন সেই কথাই বললেন, ‘‘ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যে-ই ব্যাটিং করে তাকে ১৩-১৪তম ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা উচিত। আমরা দ্রুত ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়েছি।’’
লিটন নিজেও আউট হয়েছেন উইকেট উপহার দিয়ে। আউট হওয়ার আগের বলে ১ রান নেওয়ার জন্য সতীর্থকে কল করেন লিটন। কিন্তু ঝুঁকি থাকায় তাওহীদ সাড়া না দিয়ে লিটনকে ফিরিয়ে দেন। পরের বলেই মেজাজ হারিয়ে এলোমেলো শট খেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তাতে বাংলাদেশের ইনিংসের ছন্দপতন শুরু হয়ে যায়। নিজের আউট ও তাওহীদের সঙ্গে রান আউট হওয়া নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটে আপনাকে বেসিক অনুসরণ করতে হবে। কখনো কখনো আপনি হয়তো বেসিক অনুসরণ করেন না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”
আরো পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।
ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।
বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।
তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ