শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আগামীকাল: চিফ প্রসিকিউটর
Published: 31st, May 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তাজুল ইসলাম এ কথা জানান। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। ১৭ থেকে ৩১ মে আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ পালন করা হয়।
শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম। বিচারের ক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে।
বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা অনেকটা দূর হয়েছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
তাজুল ইসলাম জানান, বিচারের ক্ষেত্রে তাঁরা খুবই সাবধানতা অবলম্বন করছেন। তিনি বলেন, বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত জ ল ইসল ম উল ল খ অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউপি ভবনে তালা দিলেন জামায়াতের নেতাকর্মী
যশোরের মনিরামপুরের চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দে দলীয় লোকদের প্রাধান্য দেওয়া ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে এ ঘটনা ঘটায় জামায়াত নেতাকর্মীরা।
দুপুর আড়াইটার দিকে নেঙ্গুড়াহাট বাজার থেকে জামায়াতের কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে পরিষদে যান। এ সময় তারা চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল হামিদ সরদার এবং ইউপি সচিব বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন না।
চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিল্লাল হোসেন জানান, গত বছর আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারি বরাদ্দ বণ্টনের বিষয়ে ইউএনওর মধ্যস্থতায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের নেতাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। এসব সরকারি বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব, ওএমএস, টিআর, কাবিখা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বয়স্ক ভাতা।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ সরদারের ভাষ্য, ইউনিয়নে আসা সব সরকারি বরাদ্দের শতকরা ২৫ ভাগ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পরিষদে তালা মারার বিষয়টি ইউপি সচিবের মাধ্যমে ইউএনকে জানানো হয়েছে।
ইউপি ভবনে তালা মারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আবদুল মান্নান। তারা অভিযোগ করেন, সরকারি সব বরাদ্দে তাদের ২৫ ভাগ দেওয়ার সমঝোতা হলেও চেয়ারম্যান তা মানছেন না। তিনি সব বরাদ্দই তাঁর দলীয় আস্থাভাজনদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হচ্ছে।