পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে বা অনেক সময় নিরাপদ খাবার পানি না পাওয়া গেলে বন্যা বা দুর্যোগের সময় পানি পরিশুদ্ধ করতে পানিতে ব্লিচিং পাউডার বা ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহৃত হয় মূলত জীবাণুনাশক হিসেবে। ব্লিচিং পাউডার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং শেওলা ধ্বংস করতে বেশ কার্যকর। তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে।

ব্লিচিং পাউডার যখন ক্ষতির কারণ

ব্লিচিং পাউডার দিলে পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এই পানি ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা, চোখ থেকে পানি পড়া, ঝাপসা দেখা, বমি হওয়া, শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে। ফুসফুসে বেশি পরিমাণে গেলে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এবং যাঁদের আগে থেকে হাঁপানি আছে।

ব্লিচিং পাউডার অন্য কিছু ক্লিনার বা অ্যাসিডিক পদার্থ বা ভিনেগারের সঙ্গে মিশলে বিষাক্ত গ্যাস (ক্লোরিন গ্যাস) তৈরি হতে পারে, যা খুব বিপজ্জনক।

বারবার বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে ট্যাংকের ধাতব অংশ বা পাইপ ক্ষয় হতে পারে।

নিরাপদ ব্যবহারে যা করবেন

প্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য ৫০-১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার যথেষ্ট।

ব্লিচিং পাউডার গরম পানিতে গুলিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ট্যাংকে ঢালতে হবে।

ব্লিচিং দেওয়ার পর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে, তারপর ভালোভাবে ট্যাংক পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

সব পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি কমপক্ষে তিন থেকে চারবার ভরে ফেলে দিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবহারের সময় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করুন, বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট থাকলে।

ব্লিচিং পাউডার সঠিক নিয়মে ও পরিমাণে ব্যবহার করলে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নিরাপত্তা ও পরিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তার জন্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের আগে সচেতনতা জরুরি।

ডা.

আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা

আরও পড়ুনকোরবানির পর যেভাবে চারপাশ জীবাণুমুক্ত করবেন২৯ জুন ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) সাম্প্রতিক সময়ে দুটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফাইনাল পর্বে বিইউবিটি আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে‌।

বিতর্কের বিষয় ছিল- ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ এই বিতর্কে বিইউবিটি বিরোধী দলের ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, শক্তিশালী উপস্থাপন এবং বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।

অন্যদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৭ম ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনের জাতীয় পর্বে বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ আইটি ও রোবোটিকস বিভাগে রৌপ্য পদক অর্জন করে।

৫১তম ব্যাচের তিনি শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, কামরুল ইসলাম ও মো. সাকিলের উদ্ভাবিত প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি সমাধান, যা কৃষকদের ফসলের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। এটি অটোমেশন ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টেকসই কৃষি ও সফল ফলনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।

এই সাফল্যের পর বিইউবিটির উভয় দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। উপাচার্য তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই অর্জনসমূহ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং বিইউবিটির সম্মান এবং বাংলাদেশের শিক্ষার গৌরব। আশা করি, বিইউবিটির তরুণেরা দেশ ও জাতির জন্য আরও সৃজনশীল ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।’

ডিবেটিং ক্লাবের সদস্যরা বলেন, ‘এই জয় আমাদের যুক্তিবোধ, দলগত কাজ ও নেতৃত্বের একটি অনন্য প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের জায়গা করে নিতে চাই।’ অপরদিকে টিম ‘এগ্রো ডক্টর’- এর সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। এই সাফল্য আমাদের আরও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।’

বিইউবিটি ভবিষ্যতেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে বাংলাদেশকে গর্বিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ