ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা কতটা ক্ষতিকর
Published: 31st, May 2025 GMT
পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে বা অনেক সময় নিরাপদ খাবার পানি না পাওয়া গেলে বন্যা বা দুর্যোগের সময় পানি পরিশুদ্ধ করতে পানিতে ব্লিচিং পাউডার বা ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহৃত হয় মূলত জীবাণুনাশক হিসেবে। ব্লিচিং পাউডার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং শেওলা ধ্বংস করতে বেশ কার্যকর। তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে।
ব্লিচিং পাউডার যখন ক্ষতির কারণব্লিচিং পাউডার দিলে পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এই পানি ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা, চোখ থেকে পানি পড়া, ঝাপসা দেখা, বমি হওয়া, শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে। ফুসফুসে বেশি পরিমাণে গেলে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এবং যাঁদের আগে থেকে হাঁপানি আছে।
ব্লিচিং পাউডার অন্য কিছু ক্লিনার বা অ্যাসিডিক পদার্থ বা ভিনেগারের সঙ্গে মিশলে বিষাক্ত গ্যাস (ক্লোরিন গ্যাস) তৈরি হতে পারে, যা খুব বিপজ্জনক।
বারবার বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে ট্যাংকের ধাতব অংশ বা পাইপ ক্ষয় হতে পারে।
নিরাপদ ব্যবহারে যা করবেনপ্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য ৫০-১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার যথেষ্ট।
ব্লিচিং পাউডার গরম পানিতে গুলিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ট্যাংকে ঢালতে হবে।
ব্লিচিং দেওয়ার পর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে, তারপর ভালোভাবে ট্যাংক পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সব পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি কমপক্ষে তিন থেকে চারবার ভরে ফেলে দিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
ব্যবহারের সময় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করুন, বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট থাকলে।
ব্লিচিং পাউডার সঠিক নিয়মে ও পরিমাণে ব্যবহার করলে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নিরাপত্তা ও পরিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তার জন্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের আগে সচেতনতা জরুরি।
ডা.
আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ