ফারুক আহমেদকে অপসারণের ঘটনায় যা বললেন হাথুরুসিংহে
Published: 31st, May 2025 GMT
চরম নাটকীয়তায় ফারুক আহমেদকে বিসিবি সভাপতি পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ থেকে তাঁর বিদায়ের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দফায় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা হাথুরুসিংহেকে গত বছরের অক্টোবরে বরখাস্ত করা হয়। এর দুই মাস আগে বিসিবি সভাপতির চেয়ারে বসেছিলেন ফারুক।
আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে বিসিবির পরিচালক হন। ২১ আগস্ট পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি। ৯ মাসের বেশি সময় পর গত ২৯ মে ফারুকের পরিচালক পদে মনোয়ন বাতিল করে এনএসসি। এর আগের দিন বিসিবির ৮ পরিচালক তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে এনএসসিতে চিঠি দেন।
চিঠিতে ফারুকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। যার মধ্যে ছিল কারও সঙ্গে আলোচনা না করে হাথুরুসিংহেকে একক সিদ্ধান্তে বরখাস্তের অভিযোগও। বৃহস্পতিবার রাতে এনএসসি ফারুককে দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিসিবি সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোয় ফারুকের অপসারণের খবরটি লিংকডইনে শেয়ার করেছেন হাথুরুসিংহে। পেশাজীবীদের প্ল্যাটফর্মটিতে নিজের অ্যাকাউন্টে খবরটি পোস্ট করে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ লিখেছেন, ‘আমার বিদায়টি এখন বৃহত্তর ঘটনার একটি অংশ—ইএসপিএনক্রিকইফোর প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।’
এরপর লিখেছেন, ‘এমনিতে আমি চাই, আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলুক। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও আলোচনায় এসেছে আমার নাম। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের পেছনে একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি, যেখানে বোর্ডের যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’ লেখার শেষ অংশে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত এই কোচ লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া আর সম্মান—মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে—এই মূল্যবোধগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত ১৭ অক্টোবর বিসিবি অসদাচরণ ও চাকরিবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। পরদিনই ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমে পাঠানো একটি লিখিত বিবৃতিতে হাথুরুসিংহে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বরখ স ত র ঘটন অপস র
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা/এনটি/ইভা