কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে আসছে কোরবানির পশু
Published: 31st, May 2025 GMT
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র সাতদিন। ঈদকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও ব্যাপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে হাটে আসছেন।
বিক্রেতারা জানান, এখনো বেচাবিক্রি জমে ওঠেনি। রবিবার (১ জুন) সকাল থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করবেন হাটে।
রাজশাহী থেকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাটে গরু বিক্রি করতে আসা ব্যাপারী ফাহিম বলেন, “আমরা প্রতিবছর জিনজিরা হাটে ৫০-৬০টি কোরবানির পশু নিয়ে আসি। এ হাটে বিক্রি ভালো হয়, পশুর দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা যত কষ্টই হোক এ হাটেই আসি। এখানে হাট কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।”
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে বসছে ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট
কুমিল্লার হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু
জামালপুর থেকে কেরানীগঞ্জের আগানগর হাটে গরু নিয়ে আসা কলিম ব্যাপারী বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাটে পশু নিয়ে আসি। এখনো গরু বেচাকেনা শুরু হয়নি। আমি ৩০টি গরু এনেছি। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আমাদের থাকতে একটু কষ্টই হচ্ছে। যদি গরুর দাম ভালো পাই তাহলে এই কষ্ট থাকবে না।”
জিনজিরা হাটে গরুর দাম যাছাইয়ে আসা ইয়াসিন বলেন, “পশুর হাটে ঘুরছি, যদি দামে বনিবনা হয়; তাহলে কোরবানির জন্য পশু কিনে বাসায় যাব। এখন পশুর অনেক দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আশা করি, আরো পশু হাটে এলে দাম কমে যাবে। গত বছরের চেয়ে এবার অনেক আগেই হাটে বেশি গরু উঠেছে। দুইদিন পর আরো গরু হাটে আসলে মনে হয় দাম অনেকটাই কমে যাবে।”
জিনজিরা হাটের ইজারাদার মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, “কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলোসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শতাধিক সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে হাটে পশুতে ভরে গেছে। রবিবার থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছি।”
আগানগর হাটের ইজারাদার আরশাদুর রহমান সপু বলেন, “আমাদের হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ট্রাকে করে গরু আনছেন। কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলোসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে। আমাদের হাটে আশা গরুর পাইকারদের থাকা খাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো.
ঢাকা/শিপন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট র জন য প ব যবস থ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’