তিনটি অদৃশ্য গ্রহাণু আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে
Published: 31st, May 2025 GMT
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি বড় আকারের অদৃশ্য গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২০ এসবি, ৫২৪৫২২ ও ২০০২ সিএল১ নামের শহর ধ্বংসকারী গ্রহাণুগুলো পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহাণুগুলো বর্তমানে শুক্র গ্রহের কক্ষপথে অবস্থান করছে। কিন্তু মহাকর্ষীয় ত্রুটির কারণে এসব গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথে চলে আসতে পারে। এর ফলে পৃথিবীতে আঘাত হানার ঝুঁকি রয়েছে। আকারে বড় হওয়ায় গ্রহাণুগুলো শহর ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সামান্য মহাকর্ষীয় ত্রুটির কারণে দিক পরিবর্তন করে গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর দিকে চলে আসতে পারে। তখন গ্রহাণুর আঘাতে তিন কিলোমিটারের বেশি গর্ত তৈরি হতে পারে পৃথিবীতে। শুধু তা–ই নয়, এসব গ্রহাণুর আঘাতে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত পারমাণবিক বোমার চেয়ে ১০ লাখ গুণ বেশি শক্তি নির্গত হতে পারে। চিলির রুবিন অবজারভেটরি থেকে এসব গ্রহাণুর ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, গ্রহাণুগুলোর অবস্থান ঠিকমতো শনাক্ত করা যাচ্ছে না অর্থাৎ গ্রহাণুগুলো মহাজাগতিক অন্ধ স্থানে রয়েছে। এর ফলে পৃথিবীতে আঘাত হানার মাত্র দুই থেকে চার সপ্তাহ আগে গ্রহাণুগুলোর সঠিক অবস্থানের তথ্য জানা যেতে পারে। এ বিষয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ভ্যালেরিও ক্যারুবার জানিয়েছেন, গ্রহাণুগুলো সূর্যের আলোর কারণে লুকিয়ে রয়েছে। পৃথিবী থেকে কোনো টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহাণুগুলোর সঠিক অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রহ ণ গ ল অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ আর আগের মতো নেই: সারজিস
‘প্রতীক ভাড়া দেওয়ার দিন শেষ। জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে সারজিস লিখেছেন, “প্রতীক ভাড়া দেওয়ার দিন শেষ। জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।”
তিনি আরো লিখেছেন, “মাঠ আর আগের মতো নেই। আগের ইকুয়েশন এবার মিলবে না। সময়মত মিলিয়ে নিয়েন।”
নিবন্ধিত দল জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে। এরপর জোট মনোনীত প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করা নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। শেষ পর্যন্ত এই ধারা অপরিবর্তিত রেখেই সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা/ইভা