খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে কোরবানির পশুরহাট উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) বিকেলে এ হাট উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন স্থান থেকে হাটে আগত পশুর মালিকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাটের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারে সিটি করপোরেশন তৎপর থাকবে। হাটে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বন্টন করে পৃথক পৃথক কমিটি কাজ করবে।” 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ২২ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু

বৃষ্টি বাগড়ায় পশুর হাটে ক্রেতা কম, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

তিনি বলেন, ‍“জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এ বছর আমরা হাসিল ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশে এনেছি। আশা করছি, গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি হাসিল আদায় হবে, যা আমরা সরকারি তহবিলে জমা দেব।” 

মো.

ফিরোজ সরকার বলেন, “এই পশুরহাটে দলমত নির্বেশেষে সবাই আমাদের সহযোগিতা করছে। জাল টাকা শনাক্তে খুলনার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

খুলনা সিটি করপোরেশনের সচিব ও পশুহাট কমিটির আহ্বায়ক শরীফ আসিফ রহমানের সভাপতিত্বে জোড়াগেটে হাট উদ্বোধনের সময় পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ