Risingbd:
2025-06-03@07:05:47 GMT

অসময়ে বাঁধাকপি

Published: 1st, June 2025 GMT

অসময়ে বাঁধাকপি

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি। অথচ গ্রীষ্মকালেও এ সবজির চাষ হচ্ছে। সবজি উৎপাদনের পরিচিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েক এলাকায় অসময়ে এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাঁধাকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার চাষিরা।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ বাঁধাকপি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি বিঘা জমির বাঁধাকপি বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা বাঁধাকপি চাষ করতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর প্রতি বিঘা জমির বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে বাঁধাকপির দাম তুলনামূলকভাবে কম। তাই লাভ কম হচ্ছে। কেউ কেউ তাদের ফসল ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারমূল্য কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেকে হতাশায় ভুগছেন। অনেকে বাঁধাকপি প্রস্তত রেখেছেন, বাজারমূল্য বাড়ার অপেক্ষা করছেন। কৃষকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বীজ, সার ও দিনমজুরের খরচ বেড়ে গেছে। ফলে প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ১২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। তার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং তিনি আশা করছেন সমপরিমাণ লাভ হবে।

একই গ্রামের চাষি আজাদ হোসেন জানান, তিনি ৩৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা এবং বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার টাকা। 

লালন হোসেন জানান, দেড় বিঘা জমির কপি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও বৈরী আবহাওয়ায় বাজারদর কমে যাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী পুরো টাকা দিতে গড়িমসি করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকায় বাঁধাকপি নিয়ে যেতে পরিবহন খরচই পড়ছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকায়, ফলে লাভের পরিমাণ কমে গেছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম মিলন বলেন, ‘‘মাঠপর্যায়ে কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করা, পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’’ 

তিনি আরো জানান, প্রতিবছরই দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৩৫ হ জ র ট ক চ ষ কর উপজ ল করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অসময়ে বাঁধাকপি

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি। অথচ গ্রীষ্মকালেও এ সবজির চাষ হচ্ছে। সবজি উৎপাদনের পরিচিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েক এলাকায় অসময়ে এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাঁধাকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার চাষিরা।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ বাঁধাকপি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি বিঘা জমির বাঁধাকপি বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা বাঁধাকপি চাষ করতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর প্রতি বিঘা জমির বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে বাঁধাকপির দাম তুলনামূলকভাবে কম। তাই লাভ কম হচ্ছে। কেউ কেউ তাদের ফসল ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারমূল্য কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেকে হতাশায় ভুগছেন। অনেকে বাঁধাকপি প্রস্তত রেখেছেন, বাজারমূল্য বাড়ার অপেক্ষা করছেন। কৃষকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বীজ, সার ও দিনমজুরের খরচ বেড়ে গেছে। ফলে প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ১২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। তার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং তিনি আশা করছেন সমপরিমাণ লাভ হবে।

একই গ্রামের চাষি আজাদ হোসেন জানান, তিনি ৩৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা এবং বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার টাকা। 

লালন হোসেন জানান, দেড় বিঘা জমির কপি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও বৈরী আবহাওয়ায় বাজারদর কমে যাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী পুরো টাকা দিতে গড়িমসি করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকায় বাঁধাকপি নিয়ে যেতে পরিবহন খরচই পড়ছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকায়, ফলে লাভের পরিমাণ কমে গেছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম মিলন বলেন, ‘‘মাঠপর্যায়ে কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করা, পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’’ 

তিনি আরো জানান, প্রতিবছরই দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ