Prothomalo:
2025-06-03@12:49:30 GMT

ভোপালের বেগমের মক্কা সফর

Published: 2nd, June 2025 GMT

আজকের ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল একসময় একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। ১৭০৭ সালে ষষ্ঠ মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরপর তাঁর বাহিনীর একজন পশতুন সৈনিক দোস্ত মোহাম্মদ খান এ রাজ্যটি স্থাপন করেন। ইতিহাসের পথপরিক্রমায় মুসলমান-শাসিত রাজ্যটি প্রতিষ্ঠার অল্পপরেই প্রথম কয়েক বছর হায়দরাবাদের নিজামের অধীনে, তারপর দীর্ঘ প্রায় সাত দশক মারাঠা শাসনাধীনে থাকার পর ব্রিটিশ অধীন দেশীয় রাজ্য ছিল। ১৯৪৯ সালে স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে রাজ্য হিসেবে এর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়।

ব্রিটিশের অধীন রাজ্য থাকার সময় নামকাওয়াস্তে স্বাধীন শাসকদের দ্বারা ১৮১৮ সাল থেকে শাসিত হয় প্রায় ১৩০ বছর। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এ সময়ে প্রথম ১০০ বছরেরর কিছু বেশি সময় ৯ হাজার বর্গকিলোমিটারের ভোপাল শাসিত হয়েছিল নারীদের দ্বারা। তৎকালীন রাজাদের সমতুল্য এই নারী শাসকেরা পরিচিত ছিলেন বেগম হিসেবে।

তাঁর হজ সফর শুধু ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সফরই ছিল না, ছিল এক রাষ্ট্রীয় সফর। এ সফরের ওপর ভিত্তি করে তিনি উর্দুতে একটি বই লেখেন।

কুদসিয়া বেগম ছিলেন প্রথম নারী শাসক। তাঁর কন্যা সিকান্দার বেগম ভোপাল শাসন করেন। তিনি তাঁর শাসনকালে ১৮৬৩ সালের শেষ দিকে হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা ও চাচা। তাঁর হজ কাফেলায় কয়েক শ লোক ছিল। সেই সময় ভোপালের জনসংখ্যা ছিল ১০ লাখ। ব্রিটিশ-ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কথিত স্বাধীন রাজ্যটিতে (প্রিন্সলি স্টেট) সিকান্দার বেগম ছেলে ও মেয়েদের জন্য অনেকগুলো বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। তিনি একাধারে সাহসী, বুদ্ধিমতী ও দৃঢ়চেতা ছিলেন। রাজ্য শাসনে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিতেন। তাই তাঁর হজ সফর শুধু ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সফরই ছিল না, ছিল এক রাষ্ট্রীয় সফর। এ সফরের ওপর ভিত্তি করে তিনি উর্দুতে একটি বই লেখেন। যার দুটি অনুলিপি করা হয়; একটি তাঁর নিজের জন্য, অন্যটি বিলেতের মহারানি ভিক্টোরিয়ার জন্য। ভিক্টোরিয়া নিজেও কিছুটা উর্দু রপ্ত করেছিলেন তাঁর হিন্দুস্তানি মুসলমান খানসামা আবদুল করিম মুন্সির সহায়তায়।

১৮৭০ সালে লন্ডন থেকে বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। ভোপাল নিযুক্ত ব্রিটিশ রাজনৈতিক প্রতিনিধির স্ত্রী এলিজাবেথ উইলোবাই অসবর্ন। তিনি সিকান্দার বেগমের বিশেষ বন্ধুও ছিলেন। বইটিতে মূলত সিকান্দার বেগমের মক্কা সফরকালীন বিভিন্ন ঘটনার বিবরণের পাশাপাশি এবং তৎকালীন মক্কার শরিফ ও ওসমানি সুলতানের নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যেসব পত্রবিনিময় হয়েছিল, সেগুলো সংকলিত হয়েছে। এসব চিঠি থেকে সিকান্দার বেগমের তেজের একটা ধারণা পাওয়া যায়। পাশাপাশি হিজাজের হজযাত্রার পথগুলোর সেই সময়কার একটা চিত্র পাওয়া যায়। জানা যায়, কারা এসব পথ নিয়ন্ত্রণ করত এবং একজন শক্তিশালী বিদেশিকে [মানে সিকান্দার বেগম] কী ধরনের বিপদ ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে। সর্বোপরি এতে দুটি বিপরীতধর্মী সংস্কৃতির (হিন্দুস্তানি ও আরব) দ্বন্দ্বও উঠে এসেছে। অবশ্য সিকান্দার বেগম কীভাবে হজ পালন করেছেন, তা নিয়ে কিছু লেখেননি। মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় অবস্থান নিয়ে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না বইটিতে। সে কারণেই অনেকে মনে করেন যে তিনি শুধু উমরাহ করেছিলেন, হজ নয়। আবার নিরাপত্তার কারণে তিনি মদিনাও সফর করেননি।

সিকান্দার বেগমের জবানিতে তাঁর মক্কা সফরের কিছু বর্ণনা শোনা যাক।

আরও পড়ুনবাঙালির হজযাত্রা: একাল-সেকাল১৪ মে ২০২৫

জেদ্দায় আগমন

হিজরি ১২৮০ সালের শাবান মাসের ১৩ তারিখ অনুযায়ী ১৮৬৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আমি জেদ্দায় অবতরণ করি। ফলে লোকলস্কর নিয়ে বোম্বে থেকে আমি যে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেছিলাম, তা শেষ হয়। কিন্তু জেদ্দা বন্দরে নিযুক্ত তুরস্কের সুলতানের অ্যাডমিরাল জাহাজে এসে আমাকে বলেন, ‘আপনি আজকে নামতে পারবেন না। আপনার আগমনের বার্তা মক্কার শরিফ ও পাশার কাছে জানানোর পর হয়তো আগামীকাল সকাল আটটা বা নয়টার দিকে আপনি শহরে প্রবেশ করতে পারবেন।’

সে অনুসারে ২৪ জানুয়ারি সকাল নয়টায় আমার জিনিসপত্র নামানো শুরু হয়। আর আমি নওয়াব কুদসিয়া বেগম [সিকান্দার বেগমের মাতা], নওয়াব মিয়া ফওজদার মুহাম্মদ খান [চাচা] ও ডা.

চার্লস থমসনকে [ভোপালে নিযুক্ত ব্রিটিশ সার্জন] সঙ্গে নিয়ে আহমদ আরবের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হই। এখানেই আমাদের হজ কাফেলা অবস্থান করছিল।

মক্কার চারধারে কোনো নদী, খাল-বিল বা জলপ্রবাহ নেই, আছে কেবল কিছু ঝরনা। তবে কোনো পথিকই বিনা পয়সায় এখানে গোসল করতে পারে না। গরিব মানুষদের বেত্রাঘাত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

ডা. থমসন আমাকে এখানে রেখে জেদ্দা কনসুলে যান। আহমদ আরব আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান। আমার সম্মানে এক ভোজের আয়োজন করেন, যেখানে তাঁর পরিবারের সব নারী উপস্থিত ছিলেন। তবে সন্ধ্যার সময়ই তিনি জানান যে মিসর থেকে এক শাহজাদি এসেছেন, যিনি এখানেই উঠবেন। ফলে আমাকে অন্যত্র যেতে হবে। আমি হঠাৎই শরণার্থী হিসেবে আরেক জায়গায় গিয়ে উঠি। সেই বাড়িটার নাম অবশ্য ছিল খুশ শামিয়ান (সুখী নিবাস)!

আরও পড়ুনহজের শিক্ষা ও বাংলাদেশে হজযাত্রার বর্তমান প্রেক্ষাপট১৫ মে ২০২৫

মক্কা

মর্যাদাবান শহর মক্কা দেখতে খুবই বন্য ও উষর, যা চারদিকে উঁচু উঁচু পাহাড় দিয়ে পরিবেষ্টিত, যেখানে গাছের তেমন কোনো চিহ্ন নেই। আমাকে বলা হয়েছিল যে এসব পাহাড় মক্কার চারদিকে চার থেকে পাঁচ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। অমরা সড়কে সেটাই দেখতে পেলাম। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তাটা, যা কিছু স্থানে এত সরু যে পাশাপাশি তিন থেকে চারটি উট চলতে পারে। অবশ্য সড়কের অন্য অনেক স্থানে পাঁচটি থেকে দশটি উট পাশাপাশি চলার মতো প্রশস্ততা আছে।

মক্কার চারধারে কোনো নদী, খাল-বিল বা জলপ্রবাহ নেই, আছে কেবল কিছু ঝরনা। তবে কোনো পথিকই বিনা পয়সায় এখানে গোসল করতে পারে না। গরিব মানুষদের বেত্রাঘাত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব জায়গায় শরিফ ও পাশার প্রহরী নিযুক্ত আছে। আধা গুরিশ [এক সৌদি রিয়ালের ২০ শতাংশের ১ শতাংশ মূল্যমানের মতো] দিয়ে এক মশক পানি মেলে। শরিফ ও পাশার পরিচিতি বিভিন্ন গোত্রপ্রধান ও উচ্চপদস্থ লোকজন অবশ্য পর্যাপ্ত পানি পেয়ে থাকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে। আমাকেও যত খুশি তত পানি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শহরে কিছু চমৎকার হাম্মাম আছে, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা।

মক্কা পৌঁছার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এশার ওয়াক্ত হয়ে গেল। চারদিকের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ভেসে আসতে লাগল আজান। আমি বাবুস সালাম দিয়ে পবিত্র প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলাম এবং নির্ধারিত দোয়া পড়লাম। তারপর প্রথমে কাবা তাওয়াফ করলাম। এরপর সাফা ও মারাওয়ায় দৌড়ালাম [সাঈ করলাম]। এরপর আমার ইচ্ছে ছিল যে আমি যেখানে উঠেছি সে বাড়িতে যাবে এবং সঙ্গে আনা কয়েকটি পশু কোরবানি করব। একই সঙ্গে আমি হালাক নিসাই [নারীদের জন্য নির্ধারিত নিয়মে চুল কেটে হালাল হওয়া] করব। আমার জন্য ঠিক করা বাড়িটা যদি ভালো হয়, তাহলে আমি সেখানেই থাকব বলে মনস্থির করেছি।

আমি লোকটাকে বললাম, ‘ভাই, ও তো আমার লোক। ওকে মারছ কেন?’ তখন লোকটি বলল, ‘আপনাকে শরিফের বাড়িতে যেতে হবে। তিনি আপনাদের জন্য রাতের খাবার তৈরি করেছেন। ওটা খেতে হবে।’

ইতিমধ্যে আমি মৌলভী আবদুল কাইউমকে বললাম, আমার জন্য ঠিক করা বাড়িতে আমাকে নিয়ে যেতে। তিনি সে অনুসারে আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। হঠাৎ করে আমার জন্য হাদ্দা থেকে নিযুক্ত মক্কা শরিফের চারজন ক্রীতদাসের একজন তাঁর দিকে ধেয়ে এসে তাঁর মুখে ঘুষি মেরে পথের ধারে এক দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে। মৌলভি চিৎকার করে ওঠেন, ‘দেখুন, বেগম সাহেবা। শরিফের লোক আমাকে কীভাবে মারছে।’ আমি লোকটাকে বললাম, ‘ভাই, ও তো আমার লোক। ওকে মারছ কেন?’ তখন লোকটি বলল, ‘আপনাকে শরিফের বাড়িতে যেতে হবে। তিনি আপনাদের জন্য রাতের খাবার তৈরি করেছেন। ওটা খেতে হবে।’ আমি বললাম, ‘শরিফ তো আমাকে দাওয়াত করেননি। তারপরও আমি যাব, তার আগে আমার কোরবানির কাজ সারতে হবে।’

এই বলে আমি আবার হাঁটা শুরু করলাম। তখন জাফর আফান্দির সঙ্গে থাকা এক দীর্ঘদেহী দাস তরবারি বেড় করে মৌলভিকে আক্রমণ করল। আমি বাধা দেওয়ায় সে বলল, ‘আমাদের মনিব যে খানাপিনার আয়োজন করেছেন, তার জন্য পাঁচ হাজার রুপি খরচ হয়েছে। ওগুলো নষ্ট হচ্ছে, তাঁর পয়সাও জলে যাচ্ছে।’ তখন জাফর আফান্দি আমাকে বলল, ‘মহামান্য বেগম, আপনি বরং শরিফের ওখানেই চলুন। তা না হলে তিনি খুব রেগে যাবেন। তার ফল ভালো কিছু হবে না।’ এ কথা শুনে আমি শরিফের বাড়ির দিকে অগ্রসর হলাম। ওখানে পৌঁছে তাঁর ভাই আবদুল্লাহকে পেলাম, যিনি আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে সালাম ও কুশল বিনিময় করে বিদায় নিলেন।

তো শরিফের বাড়ির ফটকের ওখানেই আমি নির্ধারিত কোরবানি করলাম। তারপর হালাক নিসাইও সম্পন্ন করলাম।

আরও পড়ুনহজ করতে গিয়ে মক্কা মদিনায় হারিয়ে গেলে কী করবেন০৮ মে ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ন দ র ব গম র দ র জন য আম র জ কর ছ ন হয় ছ ল কর ছ ল করল ম অবশ য বলল ম প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মে মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ 

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলার। তবে একক মাস হিসেবে এই প্রবৃদ্ধি আরও বেশি। চলতি অর্থবছরের মে মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মে মাসে এই রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ২৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের মে মাসের তুলনায় এই বছরের মে মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১১ মাসে মোট তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার। যা মোট আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। এছাড়া একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্যে ৪ দশমিক ৭৮, প্লাস্টিক পণ্যে ১৮ দশমিক ৬২, কৃষি পণ্যে ৩ দশমিক ১৭, মৎস ও হিমায়িত খাদ্য পণ্যে ১৭ দশমিক ৫৩, প্রকৌশল পণ্যে ১২ দশমিক ৪০, সিরামিক পণ্যের ৮ দশমিক ৪২, চামড়ার জুতায় ২৮ দশমিক ৯৬, ইলেকট্রিক পণ্যের ১২ দশমিক ৪০, ফার্নিচার পণ্যে ৪ দশমিক ৯৩, তামাক পণ্যে ৩৬ ও ফলমূলে ১৫২  শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শাকসবিজ রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ১৫, জুট ইয়ার্ন অ্যান্ড টোয়াইন পণ্যে ৭ দশমিক ৪২, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ পণ্যে ১১ দশমিক ৫৮, চামড়াজাত পণ্যে ৩ দশমিক ৩৯, শুকনো খাবারে ১৩ দশমকি ২৫ ও কাঁচা পাট রপ্তানিতে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।  
 
চলতি অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের এই ১১ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে দেড় শতাংশ। 

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ