ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান বোর্ডের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, সোমবার (২ জুন)। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, মেয়রের পাঁচ বছর মেয়াদ গণনা করা হয় প্রথম সাধারণ সভার দিন থেকে। সেই হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি মনোনীত বৈধ ঘোষিত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন করে আইনি ও প্রশাসনিক অনিশ্চয়তা।

আইন কী বলে

২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ৪৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রথম সভার দিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ কার্যকর হয়। ডিএসসিসির নির্বাচিত বোর্ডের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ২ জুন। সেই হিসেবে বোর্ডের কার্যকাল আজ শেষ হচ্ছে।

আইনের ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, মেয়রের পদ আকস্মিকভাবে শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন ব্যক্তি বাকি সময়টুকু দায়িত্ব পালন করবেন। তবে যেহেতু পুরো মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই ধারা আর কার্যকর নয়।

অন্যদিকে, আইনের ২৫(১) ধারায় বলা আছে, ‘অবস্থা বিশেষে’ সরকারের অনুমোদনে করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এই প্রশাসক হতে পারেন প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তা কিংবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তি।

এবিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘‘করপোরেশনের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন কাউকে শপথ করানো আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে এক ধরনের লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ 

এবিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড.

আদিল মুহাম্মদ খান বলেন,  ‘‘পর্ষদের মেয়াদ শেষ হলে স্বাভাবিকভাবে প্রশাসক নিয়োগের পথ খোলে। এখন শপথের আর কোনো সুযোগ নেই।’’ 

আইনজীবীদের ভিন্ন যুক্তি

তবে ভিন্ন মত দিচ্ছেন ইশরাক হোসেনের আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘‘আইনে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’র ধারা রয়েছে। যেহেতু নতুন নির্বাচন হয়নি এবং আপিল বিভাগ ইশরাককে বৈধ ঘোষণা করেছে, সেহেতু তিনি আদালতের আদেশের ভিত্তিতে শপথ নিতে পারেন। নির্বাচন কমিশন চাইলে শপথের ব্যবস্থা করতে পারে।’’ 

ইসির অবস্থান

নির্বাচন কমিশন এখনও সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ রায় হাতে পায়নি। ইসির সচিব মো. আখতার আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা এখনো আদালতের পূর্ণ রায় হাতে পাইনি। নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’’ 

পাঁচ বছরের আইনি লড়াইয়ের অবসান

ডিএসসিসির ২০২০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়ের করা মামলার প্রায় পাঁচ বছর পর নিষ্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে। ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাপস বিজয়ী হন। তিনি ১৬ মে ২০২০ তারিখে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ১৭ মে প্রথম অফিস করেন। এরপর ২ জুন অনুষ্ঠিত হয় ডিএসসিসির প্রথম সাধারণ সভা, যেখান থেকে বোর্ডের পাঁচ বছরের মেয়াদ গণনা শুরু হয়।

পরাজিত বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ৩ মার্চ নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনাল রায়ে ইশরাকের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে এবং তাকে মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। গেজেট স্থগিত চেয়ে মামুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি ‘লিভ টু আপিল’ করেন, যা হাইকোর্ট ২১ মে এবং আপিল বিভাগ ২৯ মে খারিজ করে দেয়। আদালত তার রায়ে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেয় এবং গেজেট প্রকাশের পক্ষে অবস্থান নেয়।

নগরবাসীর উদ্বেগ

সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও ৫২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাকারিয়া মিয়া বলেন,   ‘‘ ডিএসসিসির বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নগর ব্যবস্থাপনায় সাময়িক অচলাবস্থার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্রুত প্রশাসক নিয়োগ বা নতুন নির্বাচনের ঘোষণা না এলে নগরসেবা ব্যাহত হতে পারে। আমরা নাগরিক সেবা বঞ্চিত। সামনে কোরবানির ঈদ।’’  

দ্রুত নগরভবনের তালা খুলে দিয়ে কার্যক্রম চালুর দাবি জানান তিনি।

৬৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফজলে রশিদ বলেন, ‘‘ডিএসসিসির বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলেও আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশ ইশরাক হোসেনকে শপথের একটি ব্যতিক্রমী সুযোগ রাখছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে। তারা চাইলে প্রশাসক নিয়োগ বা শপথ দুই পথেই অগ্রসর হতে পারে। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’ 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে সরকার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেবে।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং আদালতের রায়ে বৈধ মেয়র। সরকারকে আদালতের আদেশ মানতেই হবে।’’

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশর ক হ স ন ২০২০ স ল র ড এসস স র চ বছর র প রথম স ব যবস থ র প রথম অবস থ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তালিকায় থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত এবং একই অভিযোগে ৩৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার বা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় থাকা ইবির ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ‘শাস্তি নির্ধারণ কমিটি’ করবেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এদিকে একই অপরাধে জড়িত থাকায় ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। যাদের পড়াশোনা শেষ হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করা হবে। আর যারা অধ্যয়নরত, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় অবতীর্ণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিতকরণে গত ১৫ মার্চ আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। 

এই কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, বিভিন্ন তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে তালিকায় থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নিবর্তনমূলক কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পায়।

কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা হলেন: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিয়া রাশিদুজ্জামান।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহ আরো রয়েছেন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন।

সাসপেন্ড হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকায় রয়েছেন প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন খান ও আব্দুল হান্নান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, একই দফতরের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. ইব্রাহীম হোসেন সোনা। 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শাখা কর্মকর্তা উকীল উদ্দিনসহ তালিকায় নাম রয়েছে ফার্মেসি বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম (শিমুল), আইসিটি সেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জে এম ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার (ফটোগ্রাফি) শেখ আবু সিদ্দিক রোকন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদুর রহমানের।

বহিষ্কার ও সদন বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের বিপুল খান, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের মেহেদী হাসান হাফিজ ও শাহীন আলম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের রতন রায়। 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের মুন্সি কামরুল হাসান অনিকসহ তালিকায় রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের হুসাইন মজুমদার, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের তরিকুল ইসলাম।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মৃদুল রাব্বী, ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ফজলে রাব্বী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শাকিল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিমুল খান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের কামাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মাসুদ রানা, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মেজবাহুল ইসলাম বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। 

সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের অনিক কুমার, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আব্দুল আলিম, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিজন রায়, শেখ সোহাগ ও শাওনও এই শাস্তি পেয়েছেন। 

জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করায় শাস্তি পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের তানভীর ও শেখ সাদি, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মাজহারুল ইসলাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মনিরুল ইসলাম আসিফ, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মারুফ ইসলাম, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের পিয়াস, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ফারহান লাবিব ধ্রুব, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের প্রাঞ্জল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের নাবিল আহমেদ ইমন।

ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের রাফিদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আদনান আলি পাটোয়ারি, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের লিয়াফত ইসলাম রাকিব এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ইমামুল মুক্তাকী শিমুলও শাস্তির তালিকায় রয়েছেন। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে প্রকাশ্যে বিরোধিতাকারী হিসেবে এই ৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তাদের উস্কানিদাতা এবং পেছন থেকে আন্দোলন দমনকারী অনেকেই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই অভিযোগ অভিযুক্তদেরও। তবে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/তানিম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’