জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রায় এক বছরের মাথায় আবারও স্পেন থেকে সোমালিয়ার দস্যুপ্রবণ এলাকার সামনে দিয়ে করাচি যাচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি নিয়মিত পণ্য পরিবহন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার স্পেন থেকে পণ্য নিয়ে করাচির পথে রয়েছে জাহাজটি।

জাহাজটির ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশীদ এবারও হাল ধরেছেন এমভি আবদুল্লাহর। তবে জলদস্যুদের কাছে আক্রান্ত হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনো মুছে যায়নি। সে জন্যই ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত ৩১ মে সোমালিয়ার উপকূলের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সোমালিয়ার দস্যু–আক্রান্ত এলাকা দিয়ে আবারও যাচ্ছে আমাদের জাহাজ আবদুল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

আরও পড়ুনযে কারণে কম সময়ে ছাড়া পেল এমভি আবদুল্লাহ১৪ এপ্রিল ২০২৪

জাহাজ চলাচল শনাক্তকারী সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি ১ মে স্পেন থেকে পণ্য নিয়ে করাচির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এরপর আফ্রিকা উপকূল সোমালিয়া হয়ে এখন ওমানের কাছাকাছি রয়েছে জাহাজটি। ৭ জুন জাহাজটির করাচি বন্দরে পৌঁছানোর কথা।

২০২৪ সালের ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি।

জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি নিয়মিত পণ্য পরিবহন করছে। যেখানে পণ্য পরিবহনের ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে যাচ্ছে। জাহাজটিতে বরাবরের মতো নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে।

আরও পড়ুনকত মুক্তিপণে ছাড়া পেল এমভি আবদুল্লাহ১৪ এপ্রিল ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জলদস য দ র ক আবদ ল ল হ জ হ জট

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ