কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঈদুল আজহার বরাদ্দ ভিজিএফের ৬০ বস্তা চাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক অভিযান চালান। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২২ বস্তা চাল উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী হোসেন (২২) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়। তাঁকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ১৫-২০ জনের একটি দল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হঠাৎ হামলা চালায়। তারা ভেতরে ঢুকে প্রায় ৬০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ৩ হাজার কেজি চাল লুট হয়।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে দুস্থদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরের দিকে সেখানে জনসমাগম কমে যায়। তখন দুর্বৃত্তরা এসে চাল লুট করে। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর একটি দল, দৌলতপুর থানা-পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হক, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহাবুল ইসলাম ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

দৌলতপুর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, লুট হওয়া চাল উদ্ধারে যৌথভাবে অভিযান চলছে। আশা করা যাচ্ছে, সব চালের বস্তা শিগগিরই উদ্ধার হবে। সন্ধা পর্যন্ত ২২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মেহেদী হোসেন (২২) নামের এক তরুণকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে পাঙাশের বৃহত্তম আড়ত দ্বীপনগর, পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি অনেক মাছ
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক