শেখ মুজিবসহ চার নেতাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
Published: 4th, June 2025 GMT
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার নেতাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
বুধবার (৪ জুন) দুপুর একটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান ও চার নেতাকে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে। তারা তো থাকবেনই। তাদের কেন বাদ দেওয়া হবে? মুক্তিযুদ্ধটাতো পরিচালনা করেছেনই তারা।"
“যাদের লেখাপড়া নাই তারা এগুলো লিখছে। নায্যভাবেই মুক্তিযুদ্ধ ওনারাই পরিচালনা করেছেন। ইতিহাস কেউ কী কেউ কখনো মুছতে পারে?” প্রশ্ন করে তিনি আরও বলেন, “জাতীয় চার নেতাসহ শেখ মুজিবর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই থাকবে, আছে। তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়নি।”
এর আগে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে এক অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার রাতে এই প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’