ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারকাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। একে একে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, রায়হান রাফীসহ সিনেমা–সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা।

রায়হান রাফীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাণ্ডবে’ কি আফরান নিশো থাকছেন? উত্তরে পরিচালক বলেন, ‘‘যেটা চমক, সেটা চমক থাকাই ভালো।’’

রহস্যময় এই উত্তরের শেষ ভাগে রাফী বলেন, ‘‘এমনও হতে পারে, যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা কেউ না–ও থাকতে পারেন। তিনি জানান, আগামী শনিবারই ঈদুল আজহার দিনে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, সেদিনই সব জানা যাবে।’’ 

আরো পড়ুন:

শাকিব খানের সঙ্গে নাচার অভিজ্ঞতা জানালেন ফারিণ

কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো, যা বললেন জয়

শাকিব খানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ছোট পর্দার নায়িকা সাবিলা নূরের সঙ্গে কেন কাজ করলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘‘এ বিষয়টা আসলে শুনতেই ভালো লাগে না।বড় পর্দা, ছোট পর্দা.

..। আমরা অভিনেতা–অভিনেত্রী। আমাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। এখন আসলে পৃথিবীতে এ বিষয়টাই চলে না, কোন পর্দার মানুষ।’’ 

এই উত্তর দিয়েই থেমে জাননি মেগাস্টার। তিনি আরও বলেন, ‘‘লিচুর বাগানে- দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল সাবিলা। বাংলা সিনেমা আর একটা স্টার হিরোইন পেয়ে গেল।’’
সাবিলা নূরের সঙ্গে আরও কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন শাকিব খান।

লিচুর বাগানে কেন স্লো মোশনের গান-এই বিষয়টিও পরিষ্কার করেন রায়হান রাফী। তিনি বলেন, ‘‘সবাই ধারণা করে নিয়েছিলেন আইটেম গান, কিন্তু এটা একটা রোমান্টিক গান। আর রোমান্টিক গান সব সময় স্লো হবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গানকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিছু মানুষের কষ্ট কেন ‘দুষ্টু কোকিল’–এর মতো হলো না। আমি তাদের বলব, আমরা বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গানকে বাণিজ্যিকভাবে শুট করেছি।’ 

টলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বলতে গেলে ঢালিউডের চেয়ে টলিউডেই তার পদচারণা বেশি। এবার ‘তাণ্ডব’ এ থাকছেন এই গুণী অভিনেত্রী। তিনি এই কাজ কলকাতার দর্শকদের দেখাতে চান। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ