সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন
Published: 6th, June 2025 GMT
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে দেশের অন্তত ১১টি জেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এসব স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে ঈদ উদ্যাপিত হবে আগামীকাল শনিবার।
মাদারীপুর
মাদারীপুরে ২৫ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদ্যাপন করেছেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় মৌলভী বাড়ি মসজিদের ইমাম সিদ্দিকুর রহমান।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় আজ ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছেন মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক গ্রামে একই সময়ে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন দরবার শরিফের অনুসারীরা। হানাফি মাযহাব অনুসরণ করে প্রতিবছর হজের পরদিন ঈদ পালন করেন তাঁরা।
মির্জাখীল দরবার শরিফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান জানান, দরবার শরিফের অনুসারীরা দুই শতাধিক বছর ধরে এই ধারায় ঈদ উদ্যাপন করে আসছেন।
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামে ঈদ প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছেন। সকাল সাতটায় প্রধান ঈদের জামাত চন্দনাইশ শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবারের পীর সৈয়্যদ মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
রাজশাহী
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ফকিরপাড়া মহল্লার মুসলিম জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। সকাল আটটার দিকে মসজিদের ছাদে ঈদের নামাজে অংশ নেন ১১ জন। নামাজের ইমামতি করেন মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র ন ম জ ঈদ ল আজহ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে দুই দফা দাবি উত্থাপন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্পষ্ট বিবৃতি চান তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রশাসন আমরা এনেছি। যদি আপনারা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনাদের আমরা গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হব। এ প্রশাসন ক্যাম্পাসে গত এক বছরে কিছুই করতে পারেনি। ছয় মাস পার হলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। হচ্ছে, হবে কিংবা প্রক্রিয়ায় আছে—এসব কথা আর বলা যাবে না। যদি কাজ করতে না পারেন, আপনারা চলে যাবেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘কোনো অছাত্র, বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের অতি শিগগিরই সম্পূরক বৃত্তি দিতে হবে। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনব না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনকে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। যদি জকসু না হয়, দ্বিতীয়বার আন্দোলনের ডাক আসবে। আপনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সে আন্দোলন আপনারা সামাল দিতে পারবেন না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি আসবেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তাঁরা নির্ধারণ করবেন শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, কীভাবে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।