গাজায় ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শহরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। ছিটমহলের নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ এটিকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। খবর আল-জাজিরার

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির সাবরা এলাকায় এক বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, শনিবার গাজা শহরের সাবরা এলাকার একটি বাড়িতে বোমা হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি। এতে সেখানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে।

তিনি বলেন, আরও ৮৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ঘটনাস্থলে থাকা শরণার্থী হামেদ কেহিল বলেন, আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার, আর পাথরের আঘাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। চোখের সামনে দেখতে পাই ধ্বংসযজ্ঞ। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি বলেন, এটাই আমাদের জীবনের ঘটনা। আমরা বাচ্চাদের ঈদে আনন্দ বা সাজসজ্জার পরিবর্তে জেগে উঠি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নারী ও শিশুদের মরদেহ বহন করার জন্য। 

এদিকে গাজার দক্ষিণে অবরুদ্ধ খান ইউনিসে আল-আমাল হাসপাতাল এখন ‘পৌঁছানোর অযোগ্য’ বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট। তারা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আশপাশের এলাকাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ঈদ ল আজহ ন হত ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই দফায় সাড়ে ১১ ভরি স্বর্ণ চুরি করে ধরা পড়ল ২ শিক্ষর্থী

সিদ্ধিরগঞ্জে কোচিং করার পরিচয়ের সুবাদে বন্ধুর বাসা থেকে ৪ মাস আগে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করেন ২ শিক্ষার্থী।

দ্বিতীয়বার প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা দামের আড়াই ভরি স্বর্ণ ও ২২ ভরি রূপা চুরি করে তারা ধরা পড়েন বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে। এ ঘটনা ঘটে গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় মো. আব্দুল মালেকের বাড়িতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার সিরাজ মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া আরিফের ছেলে মো. রাফিন (১৯) ও হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রবিউলের ছেলে হাসিবুর রহমান(১৯)। তারা দুজনই শিক্ষার্থী। রাফিন নবম শ্রেণি আর হাসিবুর রহমান এবছর এসএসসি পাস করেছে।

চোরাই স্বর্ণালংকার কিনার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো ২ জনকে।  অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

এঘটনায় বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী আব্দুল মালেকের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম বেলী (৪৫) বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদীর ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার হাসিব (১৪) গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র। কোচিং করার সুবাদে রাফিন ও হাসিবুর রহমানের সঙ্গে তার বন্ধত্ব হয়। তারা সবাই মিলে বাদীর পিত্রালয়ে গ্রুপ স্টাডি করতো।

গত ২৬ মার্চ বাসা থেকে  নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়। যার কোন হদিস মিলছিলনা। গত ২৭ জুলাই বিকেল ৫ টার দিকে গ্রুপ স্ট্যাডি করার সময় রাফিন ও হাসিবুর রহমান কৌশলে শাহরিয়ার হাসিবকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও ২২ ভরি রূপার অলংকার ( যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) চুরি করে চলে যাওয়ার সময় শাহরিয়ার হাসিব দেখে ফেলে।

তখন তারা শাহরিয়ারকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে  শাহরিয়ার চুরির ঘটনা প্রকাশ করলে স্থানীরা অভিযুক্ত দু’শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে জানতে চাইলে তারা আগে ও পরে চুরির কথা স্বীকার করে। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, চোর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তারা কার মাধ্যমে কার কাছে চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রি করেছে তাদের নাম বলেছে।

তাদের দেওয়া তথ্য মতে বিকেল পর্যন্ত আদমজী সোনামিয়া বাজারের একটি জুয়েলারী দোকানদার ও গোদনাইল ২ নং ঢাকেম্বরী এলাকার একজন মেকানিক্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনের নামে চুরির মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ