প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার সফলভাবে রান তাড়া করল ইংলিশরা। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
রোববার ব্রিস্টলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আগে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ড ৯ বল হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
ইংল্যান্ডের এবারের ম্যাচে জয়ের নায়ক পেসার লুক উড। ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন দ্রুতগতির বোলার।
আরো পড়ুন:
ধ্বংসস্তূপে শিরোপার ফুল ফোটালেন আলকারাজ
টিভিতে আজকের খেলা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাটিংয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন অধিনায়ক শেই হোপ। ৩৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। তার চেয়ে ২ রান কম করেছেন জনসন চার্লস। ৩৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রান করেন চার্লস। দুজন ৯০ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে।
এই জুটি ভাঙার পর তেমন জুটি হয়নি। তবে বড় রানের জন্য ব্যক্তিগত ইনিংসগুলো কাজে এসেছে। রোভমান পাওয়েল ১৫ বলে ৩৪ রান করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। ১১ বলে ১৯ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। সাতে নেমে জেসন হোল্ডার ৯ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কার ঝড়ে ২৯ রান করলে দুইশর কাছাকাছি যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুঁজি।
লুক উড বাদে ইংল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রাইডন চার্স, জ্যাকব বেথেল ও আদীল রশিদ।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ৯ রানে জেমি স্মিথ (৪) সাজঘরে ফেরেন। সেখান থেকে বেন ডাকেট ও জস বাটলার দলকে এগিয়ে নেন। আগের দিন মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন বাটলার। আজ ৩ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন তিনি। ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন বাটলার। ডাকেট ১৮ বলে ৩০ করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়।
মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন হ্যারি ব্রুক ও বেথেল। ব্রুক ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। বেথেল ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন। তবে ব্যবধান গড়ে দেন টম ব্যানটন। ১১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় দ্রুত ৩০ রান করলে ইংল্যান্ডের সহজ জয় নিশ্চিত হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেফ ৪৫ রানে ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আকিল হোসেন, জেসন হোল্ডার, রোমারিও শেফার্ড ও রস্টন চেজ।
সাউদাম্পটনে ১০ জুন তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজ হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন ছক ক য় উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা