খুলনায় রং সাইড দিয়ে যাওয়া একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে ধাক্কা দিয়েছে ট্রাক। এ ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। 

সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর পশ্চিম প্রান্তের দারোগার লীজ নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খুলনা মেট্রোপলিটন (কেএমপি) লবণচরা থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও শিশু তানজিল (১২)। সে ইজিবাইকের যাত্রী ছিল। 

আরো পড়ুন:

ফেনীতে গাছে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ১

দাঁড়িয়ে থাকা রিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, ইন্টার্ন চিকিৎসক নিহত

ঘটনাস্থল থেকে লবণচরা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপ-পরিদর্শক মো.

আব্দুর রহিম জানান, আজ ভোরে চাঁদপুর থেকে কয়েকজন যাত্রী খুলনায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রূপসা সেতু এলাকায় বাস থেকে নেমে তারা ইজিবাইকে করে রং সাইড হয়ে দারোগার লীজের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে বাগেরহাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক তাদের বহনকারী ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও শিশু তানজিল নিহত হন। 

তিনি জানান, এ ঘটনায় ইজিবাইকের আরো চার যাত্রী আহত হন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

লবণচরা থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান বলেন, “দুর্ঘটনায় ইজিবাইকটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ট্রাকটিও উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ