জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া রেলসেতুর পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে ওই এলাকায় অপরিচিত এক ব্যক্তি রেললাইনের ওপরে বসে ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তিকে রেললাইন থেকে সরে যেতে চিৎকার করে ডাকাডাকি করেন। তবে তিনি রেললাইনের ওপর বসে ছিলেন এবং ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। নিহত ব্যক্তির পরনে লাল গেঞ্জি ও লুঙ্গি ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, ‘ওই ব্যক্তি ভোরে রেললাইনের ওপর বসে ছিলেন। আমরা ট্রেন আসতে দেখে চিৎকার করে তাঁকে রেললাইনের ওপর থেকে সরে যেতে বলি। কিন্তু ওই ব্যক্তি রেললাইনেই স্থির হয়ে ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতিতে ট্রেনটি এসে তাঁকে ধাক্কা দিলে শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়। তাঁকে এলাকার দেখে মনে হয়নি।’

আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আজ ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে আক্কেলপুর স্টেশন অতিক্রম করে। ওই ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হলহলিয়া রেলসেতুর পশ্চিম পাশে এক ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়েছেন। আমরা লাশটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে এসেছি। এখনো লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসবির বাশার প্রতারণার আরও ৯ মামলায় গ্রেপ্তার

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার১৪ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ