ই–বাইক উৎপাদনে ১০ শর্ত, সেগুলো কী
Published: 10th, June 2025 GMT
বাজেটে ই-বাইক উৎপাদনে করছাড় দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী ই-বাইককে সহজলভ্য করতে এই খাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। বাজেটে স্থানীয় উৎপাদনে ৫ শতাংশের বেশি সব কর মওকুফ করা হয়েছে। আর ই-বাইক বানাতে যাবতীয় যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভ্যাট, আগাম কর ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। সেখানে ই-বাইক উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এসব করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তবে এসব সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে বিনিয়োগকারীকে। এগুলো হলো—
১.
২. বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে ই-বাইক (টু–হুইলার) উৎপাদনের মেকারস কোড ও টাইপ অনুমোদনে নিতে হবে।
৩. উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মেটাল হাউজিং বা চেসিস উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ন্যূনতম মেশিনারি, যেমন সিএনসি টিউব বেন্ডার, টিউব নচার, ওয়েল্ডিং মেশিন, হাইড্রোলিক প্রেস, প্লাসমা কাটার বা সিএনসি লেজার কাটার, সারফেস ফিনিশিং মেশিন নিজস্ব প্রাঙ্গণে বা কারখানায় থাকতে হবে। এসব পণ্য উৎপাদনে কাঁচামাল উৎপাদনের সক্ষমতা থাকতে হবে।
৪. ই-বাইকের প্লাস্টিক–জাতীয় পণ্য উৎপাদনের মেশিনারি কারখানা প্রাঙ্গণে থাকতে হবে।
৫. রং করার পেইন্ট শপ এবং রং করার যাবতীয় কার্যক্রম কারখানায় করতে হবে।
৬. ইলেকট্রিক মোটর যন্ত্রাংশ উৎপাদন করতে হবে।
৭. ই-বাইক প্রস্তুতকারীকে নিজস্ব উৎপাদিত ব্যাটারি ব্যবহার করত হবে অথবা ব্যাটারি স্থানীয় উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কিনতে হবে, যার চুক্তিনামা থাকতে হবে।
৮. আইএসও সনদের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ ছাড়পত্র থাকতে হবে।
৯. কারখানায় কমপক্ষে ২৫০ জনের জনবল রাখতে হবে।
১০. গ্রাহক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অধীন বিক্রয়, খুচরা যন্ত্রাংশ ও বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ