কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় জারিফ ইবরাজ আহসান (২১) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ মারা গেছেন।

জারিফের স্বজনরা জানান, কানাডার স্থানীয় সময় গত ৪ জুন বিকেল ৪টার দিকে অন্টারিওর পিকারিং শহরের কাছে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পরে তাকে সানিব্রুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থেকে ১০ জুন দুপুরে মৃত্যুর কাছে হেরে যান তিনি।

জারিফ ইবরাজ আফসান কানাডায় পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তার বাবা বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার পাইলট সাঈদ মোহাম্মদ আহসান। মা তাইফা জুবায়ের কানাডায় আর্লি চাইল্ড এডুকেটর হিসেবে কর্মরত।

কানাডার স্থানীয় সময় ১১ জুন দুপুরে পিকারিং ইসলামিক সেন্টারে তার নামাজে জানা অনুষ্ঠিত হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি রুপি করে দেবে টাটা গোষ্ঠী

ভারতের আহমেদাবাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টাটা গ্রুপ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। খবর ইকোনমিক টাইমস ও বিবিসির।

এয়ার ইন্ডিয়া টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে টাটা গোষ্ঠী। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল পুনর্নির্মাণেও সহায়তা দেবে তারা।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘এই শোকের মুহূর্তে কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানে ২৪২ যাত্রী ছিলেন। বিমানটি ছিল বোয়িংয়ের তৈরি ড্রিমলাইনার। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। উড্ডয়নের পরপরই এটি লোকালয়ে একটি হাসপাতাল ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহত মানুষের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। তবে দু–একজন ছাড়া বিমানে থাকা আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য তারা ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করবে।

১৯৩২ সালে জেআরডি টাটার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ভারতের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘টাটা এয়ার সার্ভিসেস’, যা পরে হয়ে ওঠে এয়ার ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৩ সালে ভারত সরকার এয়ারলাইনসটি জাতীয়করণ করে এবং এটি হয়ে ওঠে দেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা।

দীর্ঘ সাত দশক সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এয়ার ইন্ডিয়াকে আবারও টাটা গ্রুপের হাতেই তুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি রুপিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা আবার টাটা গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে। মালিকানা ফিরে পাওয়ার পর টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়াকে আধুনিকীকরণ, পরিষেবা উন্নয়ন এবং গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর কাজ শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ