ঢাকা ছাড়ার আগে হামজা বললেন, এ তো সবে শুরু
Published: 11th, June 2025 GMT
দর্শক হতাশ হয়েছেন, হতাশ হয়েছেন খেলোয়াড়েরাও। তবে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে এক হারে সব শেষ হয়ে যায়নি, এমনটাই মনে করছেন হামজা চৌধুরী, ‘আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম তেমনটা হয়নি। কিন্তু দল হিসেবে এবং জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে কারণ আমরা সবে শুরু করছি। ইনশা আল্লাহ আমরা যেখানে যেতে চাই খুব শিগগিরই সেখানে পৌঁছে যাব।
গতকাল রাতে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে আজ ভোরেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন হামজা। তাঁর সঙ্গে একই ফ্লাইটে চড়েছেন শমিত সোমও। যদিও গতকালই অভিষেক হওয়া সোমের চূড়ান্ত গন্তব্য কানাডা।
ইংল্যান্ডের বিমান ধরার আগে রাতে নিজের ফেসবুক পেজে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলের হারের ম্যাচের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন হামজা। লেস্টার সিটি তারকা দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আবার দেখা হওয়ার আশাবাদও শুনিয়েছেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। অক্টোবরে দেখা হবে।’
গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া হামজা এবারের সফরে বাংলাদেশ দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নেমে একটি গোলও করেছিলেন। গতকাল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের একমাত্র গোলের উৎসও তিনিই।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আগামী অক্টোবরে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে ঢাকায় আতিথেয়তা দেবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষ দুটি স্থানে সিঙ্গাপুর ও হংকং। চার দলের গ্রুপে সবার শেষে ভারত, যদিও পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ১-ই।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাউশির সামনে দ্বিতীয়দিনের মত অবস্থান নিয়োগপ্রত্যাশীদের
সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন চার-পাঁচ বছর আগে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও শেষ বহু আগেই। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত ফল না পেয়ে দিশেহারা নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তাই দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের নিয়োগপ্রত্যাশীরা। আজ বুধবার সকালেও মাউশির প্রধান ফটকের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের।
অনশনকারীদের একজন সাদ্দাম হোসেন সমকালকে বলেন, ২০২১ সালে পরীক্ষা দিয়েছি, এখন ২০২৫—এই চার বছরে কত কিছু পাল্টে গেছে, শুধু আমাদের অবস্থানই বদলায়নি। শুধু একটা ফলাফলের অপেক্ষায় জীবনটা আটকে গেছে।
প্রদর্শক পদে আবেদন করা সুমাইয়া আফরিন বলেন, আমার বাবা নেই। সংসার আমার ওপর নির্ভরশীল। ভাইভা শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর, অথচ আজও কোনো ফল নেই। মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়ছি।
অবশ্য, দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে আন্দোলনকারীরা লিখিতভাবেও মাউশিতে আবেদন জানিয়েছেন। তবে কোন সাড়া মেলেনি। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ বিলম্বে ২০২৪ সালের এপ্রিলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় এবং মে-জুনে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখন ২০২৫ সালের জুন—কিন্তু এখনও কোনো চূড়ান্ত ফল নেই। এতে চাকরির বয়সসীমা পার হওয়ার শঙ্কায়ও পড়েছেন অনেকেই।
এর আগে, আজ সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা মাউশি ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানান চূড়ান্ত ফল প্রকাশের। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস বা পদক্ষেপ না পেয়ে দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেন। পরে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনশনরত এক ফলপ্রত্যাশী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, গত চার বছরে বিভিন্ন সময় মাউশির তৎকালীন মহাপরিচালক, কলেজ প্রশাসন ও উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর বা সমাধান পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নিয়ে বছরের পর বছর ঝুলে থাকার কারণে অনেকের বয়স এখন চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।