টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদীর তীর থেকে ১১টি মর্টার শেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকা থেকে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার হয়।
পুলিশের ভাষ্য, উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ মর্টার শেলের ভেতর কোনো বিস্ফোরক নেই। এলাকাবাসীর দাবি, এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মারক।
স্থানীয়রা জানান, মো.
আরো পড়ুন:
কাপ্তাই থানা থেকে আসামির পলায়ন
সুনামগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে হামলা, নারীসহ আহত ১০
এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা যমুনা নদীর তীরে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই জাহাজ থেকেই মর্টার শেলগুলো নদীর তীরে চলে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল সরকার, মনির মণ্ডল ও রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব পুরুষদের মুখে তারা শুনেছেন, এই এলাকায় একটি পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। সেই স্মৃতিই আজ যেন আবার ফিরে এসেছে এই মর্টার শেল উদ্ধারের মাধ্যমে।
নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে আমি মর্টার শেলগুলো নিজ চোখে দেখি। তাৎক্ষণিক ভূঞাপুর থানায় খবর দেই। এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, যেন শেলগুলো সঠিক প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা যায়।”
ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। অধিকাংশ শেলের ভেতরে কোনো বিস্ফোরক নেই। শেলগুলো সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।