‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’, ‘হাবজি গাবজি’, ‘ধর্মযুদ্ধ’ এবং ‘পরিণীতা’র মতো গল্প নির্ভর সিনেমাতে অভিনয় করে চলেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী। এরই মধ্যে নিজের অভিনয় প্রতিভার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী। তবে একদিনে এই অর্জন আসেনি। শুভশ্রীর মধ্যে যে অভিনয়গুণ প্রচণ্ডমাত্রায় আছে- তা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন রাজ চক্রবর্তী। আর তিনিই নাকি শুভশ্রীর মধ্যে অভিনয়ের পোকা ছেড়ে দিয়েছেন!

শুভশ্রী ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়ার এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘এটা যে আমার মধ্যে ছিলো সেটা ডিসকভার করেছে রাজ। ‘অভিমান’ এর সময় আমার মনে আছে একটা গানের শুটিং করছিলাম আমরা। প্রত্যেকটা বিটে তুই এতো সুন্দর এক্সপ্রেশন দিচ্ছিস, তো তুই অভিনয়টাতে মন দিস না কেন? তুই তো টেকিনিক্যালিও খুব স্ট্রং। তুই কন্টিনিউটি মনে রাখতে পারিস। তখন আমি বললাম, এইটুকুর জন্য আর কি রোল করবো। রোলটা তো ছোট। তখন রাজ বললো, তুই বড় রোল করবি। আমি বললাম, হ্যাঁ।’

শুভশ্রী আরও বলেন, ‘‘ অভিনয় শেখার জন্য কোনোদিন ক্লাস নেইনি। রাজ আমার মধ্যে প্রথম অভিনয়ের পোকাটা ছেড়ে দেয়।’’

আরো পড়ুন:

প্রতারণার শিকার গরু বিক্রেতাকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস

ঈদের ষষ্ঠ দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ মে বিয়ে করেন রাজ-শুভশ্রী। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ