আড়াইহাজারে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০ টায় থানা প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্র জমিয়ত এর সভাপতি মুহাম্মদ উসামা বিন হানিফ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমিয়ত এর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মাসরুর আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র জমিয়তের আহবায়ক মুহাম্মাদ আবুল হাসানাত মেহরাব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আবু হানিফ,  সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খন্দকার গিয়াসুদ্দিন, সাবেক সভাপতি মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সচিব মুহাম্মদ শরিফ সিয়াম।

সম্মেলনে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সকল ক্যাম্পাস গুলোতে রাজনীতির নামে যেই অপরাজনীতি গুলো চলমান রয়েছে সেগুলো থেকে এবং সন্ত্রাসমূলক সকল কর্মকাণ্ড থেকে ক্যাম্পাসগুলোকে মুক্ত রাখতে হবে, যদি ক্যাম্পাসগুলোতে এই অপরাজনীতি গুলো কেউ চলমান রাখার চেষ্টা করে তাহলে যেকোনো মূল্য তাদেরকে প্রতিহত করবে ছাত্র জমিয়ত আড়াইহাজার উপজেলা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ছ ল ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তির সাধক ছিলেন লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী’

লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করে গেছেন। প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন তিনি। এ কারণে তাঁর লেখা, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা এখনকার মানুষের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে তাঁকে নিয়ে প্রথম স্মরণসভা ছিল এটি।

রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন প্রবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার একজন উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক, মুক্তচিন্তার আলোকবর্তিকা। তাঁর লেখায় যেমন মানবতার বোধ রয়েছে, তেমনি যুক্তি ও প্রগতিশীল চিন্তার শক্ত ভিত্তি রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বাবার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। অথচ দুঃখজনক হলো, এত দিন বাবাকে নিয়ে এ জেলায় আলোচনা বা স্মরণসভা হয়নি। তাঁর মতো মহান প্রাবন্ধিকের জীবন ও দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি।’

জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন চিন্তার দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির সাধক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়।

সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় মোতাহের হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে জানান কবি জুননু রাইন। তিনি বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখনী আজও প্রজন্মকে চিন্তার খোরাক জোগান।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১ এপ্রিল ১৯০৩ সালে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা এবং বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, আবদুল কাদিরের সঙ্গে যৌথভাবে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। বের করেন ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘সংস্কৃতি কথা’ পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ