যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে চাটমোহরের দুটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। বুধবার রাত ১০টায় পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।

ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলস এবং ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙ্গুড়া ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট ইমরানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার থেকে লিটন ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার থেকে শরিফুলকে আটক করা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী এসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সত্যতা পান। এর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার লিটনকে ১০ হাজার টাকা ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শরিফুলকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ঢাকাগামী দুটি পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দু’জনকে জরিমানা করা হয়। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ক উন ট র পর বহন র

এছাড়াও পড়ুন:

কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।

মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।

এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।

মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।

আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ