ঈদের সিনেমায় রেটিংয়ে চমক, কোনটি এগিয়ে
Published: 12th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া সিনেমা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ঈদের ছয় সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কেমন, সেটা বোঝা যায় ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজের (আইএমডিবি) রেটিং, দর্শকদের ভোট, কতজন সিনেমাটিকে ‘ওয়াচিং লিস্ট’-এ রাখছেন, এসব দেখে। তবে এবারের ঈদের কোনো সিনেমাকেই দর্শকেরা ‘ওয়াচিং লিস্টে’ রাখেননি। আইএমডিবি রেটিংয়ে ঈদের কোন সিনেমা এগিয়ে ও পিছিয়ে, তা দেখে নিতে পারেন।
ঈদের সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটি এখনো হাউসফুল চলছে। মুক্তির দ্বিতীয় দিন থেকেই এর শো বেড়েছে। সিনেমাটি নিয়ে দর্শক রিভিউও ভালো। প্রথমবার সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ। এটি আইএমডিবি রেটিংয়েও পিছিয়ে নেই। সিনেমাটির রেটিং ৮.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হলিউডের টপ ৫ রোমান্টিক ক্ল্যাসিক সিনেমা
প্রেম একটি চিরন্তন অনুভব; যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সাহিত্য, গান আর সিনেমায় অনবদ্যভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর সিনেমার পর্দায় ভালোবাসার গল্প যখন জীবন্ত হয়ে ওঠে, তখন তা শুধু একটি গল্প নয়; বরং হয়ে ওঠে দর্শকের হৃদয়ের অংশ। হলিউডে এমন কিছু রোমান্টিক সিনেমা রয়েছে, যেগুলো শুধু বক্স অফিসেই নয় বরং মানুষের মনেও স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। চলুন জেনে নেই হলিউডের এমনই সেরা ৫ রোমান্টিক ব্লকবাস্টার সিনেমা নিয়ে।
টাইটানিক [১৯৯৭]
আইএমডিবি রেটিং: ৭.৯/১০
পরিচালক: জেমস ক্যামেরুন
অভিনয়ে: লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, কেট উইন্সলেট
১৯১২ সালের বসন্তের সময়। বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ আরএমএস টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেয়। এই জাহাজেই ওঠেন রোজ ডেউইট বুকেটার। যিনি এক ধনী পরিবারের তরুণী। যাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এক দাম্ভিক ও ধনী যুবকের সঙ্গে। রোজ দমবন্ধ হয়ে পড়েন সমাজ ও পারিবারিক চাপে। অন্যদিকে জ্যাক ডসন, দরিদ্র চিত্রশিল্পী। জুয়ার মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণির টিকিট পেয়ে জাহাজে উঠেছে। এক সন্ধ্যায় জাহাজের ডেকে দেখা হয় রোজ আর জ্যাকের এবং ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক গভীর প্রেম। তবে এই প্রেমকাহিনি করুণ মোড় নেয়, যখন টাইটানিক একটি আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। সেই দুঃসহ পরিস্থিতিতে জ্যাক রোজকে বাঁচিয়ে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত জ্যাক প্রাণ হারালেও রোজ বেঁচে থাকে তার ভালোবাসার স্মৃতি নিয়ে।
দ্য নোটবুক [২০০৪]
আইএমডিবি রেটিং: ৭.৮/১০
পরিচালক: নিক ক্যাসাভেটিস
অভিনয়ে: রায়ান গসলিং, র্যাচেল ম্যাক অ্যাডামস
এক বৃদ্ধাশ্রমে বসে ডিউক নামক এক বৃদ্ধ একজন বৃদ্ধাকে (অ্যালিকে) একটি প্রেমের গল্প পড়ে শোনান। গল্পটি ১৯৪০-এর দশকে শুরু– নোয়া কালহুন, এক শ্রমিক শ্রেণির ছেলে এবং অ্যালি হ্যামিলটন, এক ধনী পরিবারের মেয়ে। তারা এক গ্রীষ্মে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে, কিন্তু সামাজিক পার্থক্যের কারণে অ্যালির পরিবার তাদের আলাদা করে দেয়। নোয়া প্রতিদিন অ্যালিকে চিঠি লেখে, কিন্তু চিঠিগুলো অ্যালির মা পৌঁছাতে দেয় না। দীর্ঘ সময় পর অ্যালি অন্য এক যুবকের সঙ্গে বাগদান করে, কিন্তু হঠাৎ একদিন খবরের কাগজে নোয়ার ছবি দেখে পুরোনো ভালোবাসা ফিরে আসে। সে নোয়ার খোঁজে যায় এবং পুরোনো স্মৃতি আবার জেগে ওঠে। শেষে জানা যায়– এই বৃদ্ধ ডিউক আসলে নোয়া এবং অ্যালি এখন স্মৃতিভ্রষ্টতায় ভুগছে।
প্রিটি ওমান [১৯৯০]
আইএমডিবি রেটিং: ৭.১/১০
পরিচালক: গ্যারি মার্শাল
অভিনয়ে: রিচার্ড গিয়ার, জুলিয়া রবার্টস
এডওয়ার্ড লুইস একজন ধনী ব্যবসায়ী, যিনি সম্পর্কের চেয়ে ব্যবসা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। একদিন তিনি ভিভিয়ান ওয়ার্ড নামে এক যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সপ্তাহজুড়ে সঙ্গী হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করেন। ভিভিয়ান তার অনন্য সরলতা ও স্বাধীনচেতা আচরণ দিয়ে এডওয়ার্ডের মনে দাগ কাটে। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক শুধু অর্থনৈতিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ না থেকে এক আন্তরিক ও আবেগঘন সম্পর্কে রূপ নেয়। ভিভিয়ান সামাজিক পরিচয় নিয়ে দ্বন্দ্বে ভোগে, কিন্তু এডওয়ার্ড তাকে নিজস্ব মর্যাদায় ভালোবাসতে শেখায়।
লা লা ল্যান্ড [২০১৬]
আইএমডিবি রেটিং: ৮.০/১০
পরিচালক: ড্যামিয়েন চ্যাজেল
অভিনয়ে: রায়ান গসলিং, এমা স্টোন
মিয়া অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নে অডিশন দিতে থাকেন। অন্যদিকে সেবাস্টিয়ান, একজন প্রতিভাবান জ্যাজ পিয়ানোবাদক, নিজের ক্লাব খোলার স্বপ্ন দেখে। একাধিকবার হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। তারা একে অপরের স্বপ্নে অনুপ্রেরণা দেয়, একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা, সংগ্রাম এবং পেশাগত চাপে তাদের পথ আলাদা হয়ে যায়। একসময় তারা সফল হয়– কিন্তু একে অপর ছাড়া। শেষ দৃশ্যে, যখন তারা আবার দেখা করে, দর্শককে এক কল্পনার মাধ্যমে দেখানো হয়– যদি তারা এক সঙ্গে থাকত, তবে জীবনটা কেমন হতো।
গোস্ট [১৯৯০]
আইএমডিবি রেটিং: ৭.১/১০
পরিচালক: জেরি জাকার
অভিনয়ে: প্যাট্রিক সোয়ায়েজ, ডেমি মুর
স্যাম উইট, এক তরুণ ব্যাঙ্কার, তার প্রেমিকা মলিকে নিয়ে সুখে জীবন কাটাচ্ছিল। হঠাৎ এক রাতে স্যাম এক ছিনতাইকারীর হাতে খুন হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর তার আত্মা পৃথিবীতে রয়ে যায়, কারণ সে বুঝতে পারে তার মৃত্যু ছিল পূর্বপরিকল্পিত। স্যাম তার আত্মার মাধ্যমে মে ব্রাউনের মাধ্যমে মলিকে সতর্ক করার চেষ্টা করে এবং খুনির পরিচয় প্রকাশে চেষ্টা চালায়। মলিকে রক্ষা করতে গিয়ে আত্মার শক্তি ও ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়। এক হৃদয়ছোঁয়া দৃশ্যের মাধ্যমে তারা শেষবারের মতো বিদায় নেয়। এই গল্প প্রেম, মৃত্যু এবং আত্মার বন্ধনকে নিয়ে নির্মিত, যা দর্শকদের রোমাঞ্চ ও আবেগে ভাসিয়ে দেয়।