সিটির জায়গায় রিয়াল–বার্সা হলে ছাঁটাই হতেন গার্দিওলা
Published: 13th, June 2025 GMT
ভুলে যাওয়ার মতো একটা মৌসুম কাটিয়েছেন পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে কোনো কিছুই জেতা হয়নি তাঁর। টানা চার প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর এবার গার্দিওলার সিটি লিগ মৌসুম শেষ করেছে তৃতীয় হয়ে। চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের চেয়ে সিটি পিছিয়ে ছিল ১৩ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে।
প্রিমিয়ার লিগের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগেও ভালো করতে পারেনি সিটি। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ থেকে দলটি বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোর আগেই। শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনা ছিল কেবল এফএ কাপ জেতার। কিন্তু সেখানেও ফাইনালে হেরেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে।
এমন ভরাডুবির পরও অবশ্য গার্দিওলার ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে না সিটি। স্প্যানিশ এই কোচের ওপর সিটির আস্থার বিষয়টি বোঝা যাবে একটি তথ্য থেকে। গত মৌসুমে সিটির কঠিন সময়টা ছিল অক্টোবের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময় ১৩ ম্যাচের ৯টিতেই হেরেছিল তারা। কিন্তু সে সময়েই অর্থাৎ নভেম্বরেই গার্দিওলার সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করে সিটি।
আরও পড়ুনগাজার শিশুদের জন্য কাঁদছেন ‘আতঙ্কিত’ গার্দিওলা১০ জুন ২০২৫ধারণা করা হচ্ছিল, নতুন চুক্তি হয়তো নতুনভাবে উজ্জ্বীবিত করবে গার্দিওলাকে। কিন্তু তেমনটা হয়নি, মৌসুমে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি গার্দিওলা। তাঁর দাবি, এই ভরাডুবি যদি রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো ক্লাবের হয়ে হতো, তবে মাঝ মৌসুমেই ছাঁটাই হয়ে যেতেন তিনি। ক্লাবটা সিটি বলেই এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন।
এমন হতাশার সময়ই কেটেছে গার্দিওলার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’