ইরানে হামলা করেছে ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ভোরে স্থানীয় সময়ে দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতে এই হামলা করা হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে নিহত পাঁচজন হলেন-

১.

হোসাইন সালামি নিহত হয়েছেন। তিনি ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ।
২. গোলাম আলী রাশিদ, তিনি খাতাম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার।
৩. ফারেদুন আব্বাসি, পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি ২৫ বছর ধরে দেশটির পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৪. মেহেদি তেহরানচি, পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। 
৫. জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।

আজ শুক্রবার ভোরে ইরানে পাঁচ ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাত এক সামরিক কমকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি স্থানে (শহরে) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।

আর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে হামলা চালানো হয়। তবে নিশ্চিত না হলেও এখন তৃতীয় দফার হামলা চলমান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যেসব স্থানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা; তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে; তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর ও পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।

ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী এসব হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে কী খাবেন 

খাবারের সঙ্গে দাঁতের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি নিবিড়ভাবে জড়িত। কিছু খাবার দাঁতের জন্য ভালো, আবার কিছু খাবার খারাপ। দাঁত সুস্থ রাখার জন্য শুধু প্রতিদিন ব্রাশ বা ফ্লসিং করাই যথেষ্ট নয়, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দাঁতের ক্ষয় বা ক্যারিজ প্রতিরোধে, বিশেষ করে কিছু সবজি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিচে এমন কয়েকটি সবজি ও দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য এসব খাবারের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

গাজর

প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও ফাইবারসমৃদ্ধ একটি সবজি হলো গাজর। এটি চিবানোর সময় লালারসের নিঃসরণ বাড়ায়, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া গাজরে থাকা ভিটামিন এ দাঁতের এনামেল (দাঁতের বাইরের সবচেয়ে শক্ত স্তর) মজবুত করতে সহায়ক।

ব্রকলি

ব্রকলি দাঁতের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ব্রকলি দাঁতের ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করতে পারে, যা এনামেল ক্ষয়ের হাত থেকে দাঁতকে রক্ষা করে। চিবানোর সময় দাঁত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে ব্রকলি।

সেলারিপাতা

সেলারিপাতা দাঁত পরিষ্কার রাখার একটি চমৎকার উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি চিবানোর সময় দাঁত থেকে ‘প্লাক’ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি লালা উৎপাদন বাড়িয়ে মুখের ‘পিএইচ’ ভারসাম্য বজায় রাখে।

পালংশাক

পালংশাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দাঁতের মজবুত গঠনে সহায়ক। এটি এনামেল রক্ষায় কার্যকর ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

কাঁচা শসা

কাঁচা শসা দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি দাঁতের ওপর জমে থাকা দাগ ও প্লাক দূর করতে সহায়তা করে। এতে থাকা জল দাঁতের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

দাঁতের ক্ষয় রোধে নিয়মিত এসব সবজি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান ও দাঁতের সঠিক যত্ন নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। দাঁতের সুস্থতা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

ডা. জেবিন জান্নাত, দন্তরোগবিশেষজ্ঞ, ডেন্টাল ইউনিট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ