আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার পর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তারা। সংস্থাটি বলেছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে, বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতানজ এলাকায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রার কোনো বৃদ্ধিও লক্ষ্য করা যায়নি। আইএইএ আগেই নিশ্চিত করেছে যে, এটি লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে একটি ছিল। এই কেন্দ্রটি তেহরানের প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। 

আইএইএ বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইস্পাহান শহরের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফোরদোতে অবস্থিত একটি পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টও এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে। ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে সংস্থাটি। 

ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শুক্রবার ভোরে হামলায় নাতানজ শহরের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করলেও আইএইএ বলেছে, বর্তমানে ওই স্থানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মাত্রার কোনো বৃদ্ধি হয়নি। বুশেহর-এর একটি পারমাণবিক কেন্দ্রও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ