ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।

সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবজ র দ ম র সরবর হ ব জ রগ ল নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

হাউসবোটের ধাক্কায় লাইন বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎহীন ৫ গ্রাম

টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা হাউসবোটের ধাক্কায় বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে হাওরপারের পাঁচটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুরে জয়পুর গ্রামের সামনে পাটলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে উপজেলার ছিলানী তাহিরপুর, জয়পুর, ইসলামপুর নতুন হাটি, গোলাবাড়ি ও জয়পুর নতুন হাটি। 

ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল হালিম বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে পর্যটক নিয়ে আসা নীল কমল নামে একটি হাউসবোট আড়াইটার দিকে বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা দেয়। এ সময় তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রামসহ পাঁচটি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর গ্রামবাসী নীল কমল নামের ওই হাউসবোটটি আটকে রাখে। সেখানে এমনিতেই বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা হলে দু-তিন দিন পর বিদ্যুতের লোকজন এসে সমাধান করে দেয়। সরকারি ছুটি থাকায় এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন।

নীল কমল হাউসবোটের ব্যবস্থাপক আল মামুন বলেন, বিদ্যুতের লাইনের তার ছেঁড়ার পর তারা হাউসবোট নিয়ে জয়পুর গ্রামে আছেন। বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আসার পর বিষয়টি সমাধান হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • কমেছে সবজির দাম
  • ঈদের পর ঢিলেঢালা বাজার, পণ্যের দামও কমেছে
  • আট কোটি টাকার প্রকল্প চালুর আগেই অচল
  • গাজায় রক্তাক্ত দিনে ৫৭ ত্রাণ প্রত্যাশীসহ ১২০ জন নিহত
  • চীনের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে হলে বিরল খনিজ দিতে হবে: ট্রাম্প
  • চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
  • হাউসবোটের ধাক্কায় লাইন বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎহীন ৫ গ্রাম