দীর্ঘ বিরতির পর নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাব্বির নাসির। ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রকাশ পেয়েছে তার নতুন গান ‘আমি যারে ভালোবাসি’। এই গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন জিসান খান শুভ, সংগীতায়োজনে আছেন বিবেক মজুমদার। গানটির রেকর্ডিং ও মিক্সিং করেছেন সালমান জাইম, আর গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন অভিজ্ঞ নির্মাতা আজম বাবু এবং গ্রাফিক্স আর্টিস্ট রিপন নাগ। 

উল্লেখযোগ্য যে, গানটির ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় তিন হাজার ছবি, যেগুলোর মধ্য থেকে সাব্বির নিজে বাছাই করে নিয়েছেন উপযুক্ত ফ্রেমগুলো। ধাপে ধাপে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এক অভিনব গ্রাফিক্যাল মিউজিক ভিডিও।

জিসান খান শুভ বলেন, "সুরটা অনেক আগেই করেছিলাম। গানের প্রতি আমার আবেগ অনেক গভীর। সাব্বির ভাইকে সুরটা শোনানোর পর উনি পছন্দ করলেন, তারপর ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে পুরো প্রজেক্টটা। আশা করছি শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেবে গানটি।” 

আরো পড়ুন:

প্রকাশ্যে ‘তাণ্ডব’ এর রোমান্টিক গান, শাকিব-সাবিলার রোমান্স জমে ক্ষীর

সাবরিনা কার্পেন্টারের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে বিপদে ব্যারি কেওগান

নির্মাতা আজম বাবু জানান, ‘‘প্রায় দুই যুগ পর গানচিত্র নির্মাণ করেছি। এতটা সময় নিয়ে, এত ছবি থেকে বেছে নিয়ে এই ভিডিও তৈরি করা আমার জন্যও এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বলতে পারি, এই রকম ভিডিও বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না।”

নিজের গান নিয়ে সাব্বির নাসির বলেন, ‘‘ দীর্ঘ দুই বছর পর নতুন গান প্রকাশ করলাম। শ্রোতাদের সাড়া পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। জিসান খান শুভ ও বিবেক মজুমদার মিলে গানটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। ভিডিও বানাতে পারছিলাম না বাজেটের কারণে, কিন্তু আমার বড় ভাই আজম বাবু নিজেই ভিডিওটি নির্মাণের দায়িত্ব নেন। গানটি আমার হৃদয়ের কাছাকাছি, শ্রোতাদের বলবো—হৃদয় দিয়ে শুনবেন, ভালো লাগবে।”

সাব্বির আরও জানান, গানটির ভয়েস ও সাউন্ডের সমন্বয় নিখুঁতভাবে করেছেন সালমান জাইম ও বিবেক, যাদের কৃতিত্ব স্বীকার করতেই হবে। 'আমি যারে ভালোবাসি’ এখন ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা ও শোনা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে গানটি ছড়িয়ে পড়ছে সাব্বির নাসিরপ্রেমী শ্রোতাদের হৃদয়ে।’’

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র নত ন গ ন গ নট র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাত থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪ জন ভারতীয় নাগরিকসহ মোট ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। সদর উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তে ১১ জন এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ সীমান্তে ৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের মাধ্যমে আটক বাংলাদেশিদের পবিরারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ভারতীয় পরিচয় দেওয়া চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজিবি।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সেখানে বিভিন্ন কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁদের ভারতের মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে উড়োজাহাজে করে কলকাতায় পাঠায়। পরে বাসে করে সীমান্তে এনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতীয়দের বিএসএফের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মে ১১ জন, ২১ মে ২১ জন, ২ জুন ২৬ জন ও ১৩ জুন সাতজনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের বড়লেখার কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ আরও ১২ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। প্রাথমিক পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কুমারশাইল সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি নারী-শিশুসহ ১২ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

মৌলভীবাজার ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সরকার বলেন, যাচাই-বাছাই করে আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ