রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
Published: 13th, June 2025 GMT
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে জুম্মাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নন্দনপুর বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন ওরফে মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।
বুধবার দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের পরও সেদিন বিকেলেই আয়োরুল ইসলাম পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেন।
‘পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণ’–এর ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন। শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে প্রতিদিন চলত আওয়ামী লীগের মিছিল–সভা, আর বিএনপি নিধনের পরিকল্পনা।
বক্তারা দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় লোকজন মনোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি। এরই জের ধরে বিএনপির ত্যাগী নেতা আনোয়ারুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ার করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫