গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) উপজেলার মাঝবাড়ি ও বংকুরা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘বংকুরা গ্রামের রিয়াজুল শেখ কান্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের কাছ থেকে ভাঙারি ব্যবসার জন্য কিছু টাকা ধার নেন। কিন্তু, পরে সেই টাকা আর ফেরত দিতে পারেননি। ফারুক হোসেন বিষয়টি তার শ্বশুর মাঝবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আলিনুর দাঁড়িয়াকে জানান। শুক্রবার আলিনুর লোকজন নিয়ে রিয়াজুল শেখের কাছে টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় পুলিশ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত ৯০

ঢাকা/বাদল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত গ র মব স র র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর ময়মনসিংহে স্বস্তির বৃষ্টি

টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল ময়মনসিংহ। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি, কমেছে অস্বস্তিকর উষ্ণতা। নগরের বিভিন্ন এলাকা ও বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার সকাল আটটা থেকেই ময়মনসিংহের আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সকাল ৯টার পর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। টানা কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই বৃষ্টি যেন সবার মনে শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়েছে।

নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, টানা কয়েকদিনের গরম শিশু বৃদ্ধ প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আজকের বৃষ্টি একেবারে হৃদয় শীতল করেছে।

নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, কয়েকদিন ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি প্রকট রোদে। বৃষ্টি আসার পর সবকিছু ঠান্ডা হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে শীতল হাওয়া উপভোগ করছে।

অটোরিকশা চালক খালেকুজ্জামান বলেন, বৃষ্টিতে আমিও ভিজছি যাত্রীরাও ভিজছে, এটা আলাদা একটা আনন্দ। গরমের কারণে না কোন কিছু খাইয়ে না ঘুমিয়ে শান্তি ছিল না। বৃষ্টিই সকল শান্তির মূল।

তবে স্বস্তির পাশাপাশি বৃষ্টি কিছু ভোগান্তিও বয়ে এনেছে। নগরের বাঁশবাড়ি কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানান, বৃষ্টিতে যেমন স্বস্তি ফিরেছে তেমন ভোগান্তিও বেড়েছে আমাদের। টানা মুষলধারের বৃষ্টিতে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি দ্রুত না কমলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

মুক্তাগাছা শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং সকাল ১১টা বাজলেও বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়নি। তিনি মনে করেন, এটা মানুষের উপর আল্লাহর রহমত।

ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাত হচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ