মাগুরার মোহাম্মদপুর সড়কের ধলহরা চাঁদপুর এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে  লাল মোল্লা (৪৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের মৃত জলিল মোল্লার ছেলে।

শুক্রবার বিকেলের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ফুল মিয়া (৪৫) নামে আরেক আরোহী। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত লাল মিয়া পেশায় একজন বাবুর্চি। বাবুর্চির কাজে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হয়ে মাগুরায় আসার পথে ধলহারা চাঁদপুর এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুজনেই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক লাল মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার্স ইনর্চাজ সিদ্ধার্থ সাহা বলেন, বিকেলে লাল মিয়া একটি মোটরসাইকেল যোগে মাগুরা উদ্দেশে আসার পথে ধলহরা চাঁদপুর এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস লাল মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সড়ক দুর্ঘটনা অপর আহত ব্যক্তি ফুল মিয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ