পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ৪ ভারতীয় নাগরিকসহ আবারও ১৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মিস্ত্রি পাড়া ও তেতুঁলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, আজ শনিবার ভোরে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৪২১ দিয়ে ভারতের ১৩২ ব্যাটালিয়নের ইশানগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ১১ জনকে পুশইন করেছে। তাদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশী ও চারজন ভারতীয় নাগরিক। এর মধ্যে পুরুষ চারজন, নারী তিনজন এবং শিশু চারজন। আজ সকালে তাদের মাগুড়া ইউনিয়নের রজলী থেকে আটক করে বিজিবি।

এদিকে কাছাকাছি সময়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পেদিয়াগছ সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩২-এর ১ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের ১৩২ ব্যাটালিয়নের পুরোহিতগছ ক্যাম্পের সদস্যরা ৫ জনকে পুশইন করে। পরে পেদিয়াগছ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে আছেন।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনিপ্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিবারের কাছে ও ভারতীয় নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

এর আগে পাঁচ দফায় নারী, শিশুসহ ৬৭ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে বিএসএফ।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোরের দিকে দুই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশী নাগরিক ১২ জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বাকি চারজন ভারতীয় নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদেরকে ভারতে ফেরত দিতে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বিএসএফ কর্তৃক তাদের ভারতীয় হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত করার পর ফেরত পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ চ রজন

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক